পঞ্চগড়ে কনকনে শীতে কাবু জনজীবন
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
পঞ্চগড়ে শীতের দাপট অব্যাহত রয়েছে। হিম শীতল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশায় ভিজে থাকছে জেলার পথঘাট। ভোর থেকে আকাশে সূর্য উঁকি দেয়নি। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্নœ ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। হিম শীতল ঠাণ্ডায় মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কগুলোতে যানবাহন হেডলাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করছে। হিমালয় থেকে আসা কনকনে হিমেল বাতাস তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে মানুষজন আগুন জ¦ালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ভোর থেকে সারা দিন কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। হিমেল বাতাসে প্রচুর শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তরের শীতল হিম বাতাসে তাপমাত্রা নিচে নামছে। রাতের তাপমাত্রা মাইনাস জিরোতে নেমে আসার মতো শীত অনুভব হচ্ছে। সাধারণ মানুষ উপায় না পেয়ে গাছের পাতা, ঘষি, খড়কুটা জ¦ালিয়ে ঠাণ্ডা কমানোর চেষ্টা করছে। লেপ তোষকের দোকানে ব্যস্ততা বেড়েছে। বিভিন্ন হাট বাজারে পুরনো কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়ার আইয়ুব আলী বলেন, দাম একটু বেশি। পুরনো কাপড় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। শহর ছেড়ে গাঁও গ্রামে অসহায় দরিদ্র মানুষজন বড় কষ্টে জীবনযাপন করছে। কেউ কেউ রাতে চট গায়ে দিয়ে ঘুমাছে। সন্ধ্যা ও সকাল বেলা গাছের পাতা, খড়, কাঠের টুকরা, ঘষি ইত্যাদিতে আগুন জ¦ালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। শীত মৌসুমে এবার প্রচুর ঠাণ্ডা পড়েছে। ঠাণ্ডার কারণে বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিটি বাড়িতে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি যতœ নেয়া হচ্ছে। মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয়ে থেকে হিম শীতল বাতাস বয়ে আসার কারণে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। গতকাল ১ জানুয়ারি (২০২৫) সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে আগামী দিনগুলো বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাবে। সে হিসাবে নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা বাড়তে ও শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা