মিয়ানমার সীমান্ত সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৪
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত সহিংসতায় মিয়ানমারসংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকা সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখানে সার্বিক নিরাপত্তায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। গতকাল কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পরিদর্শন শেষে দমদমিয়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি মিয়ানমারের আরকান আর্মি মংডু দখলের পর সীমান্ত পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সমস্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে মিয়ানমার সরকার ও আরকান আর্মির সাথে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ রক্ষার্থে যুদ্ধাহত মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নাগরিককে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ৮৭৬ জন মিয়ানমারের নিরাপত্তাকর্মী এ দেশে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছে। আবার তাদের ফিরিয়েও দেয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্তবাসীকে রক্ষায় বিজিবি পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থা নিশ্চিদ্র সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। সীমান্ত সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে মিয়ানমার সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর জনবলও বৃদ্ধি করা হয়েছে। নাফ নদীতে টহল তৎপরতা জোরদার রয়েছে।
মাদকের অজুহাতে নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ এবং মাদক বন্ধ না হওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে নাফ নদীতে আপাতত মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফে মাদক একটি বড় সমস্যা। এটা অনেক আগের সমস্যা। এ মাদক যেভাবে হোক নির্মূল করতে হবে। এজন্য মসজিদের ইমামদের ভূমিকা রাখতে হবে’।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, মিয়ানমারে সৃষ্ট সমস্যার কারণে নতুন করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও মানবিক কারণে খাদ্য পণ্য ঠিকঠাক মতো পাচ্ছে।
এর আগে তিনি গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর হতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নে হেলিকপ্টারযোগে এসে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন, দমদমিয়া বিওপি ও নাফ নদীতে বিজিবির ডিউটির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো: মহিউদ্দিন খান, ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা