হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর দাবি এজেন্সি মালিকদের
- খালিদ সাইফুল্লাহ
- ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৪
হজের নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি, সর্বনিম্ন কোটা আরো কমানো এবং লিড এজেন্সি নির্ধারণের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে এজেন্সি মালিকরা। তারা বলছেন হজের এখনো পাঁচ মাস বাকি রয়েছে। অথচ এত আগে সবকিছু শেষ করতে মন্ত্রণালয় তাড়াহুড়া করছে। এটা অযৌক্তিক।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি হজযাত্রীরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে। এজন্য গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথমে তিন মাস এবং পরে আরো কয়েকদফা সময় বাড়িয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ বছর মোট ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন নিবন্ধন করেছেন। ফলে এখনো বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি। এ বছর গত হজের চেয়েও কম হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। গত বছর ৮৫ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন করেছিলেন। এজন্য বেসরকারি এজেন্সি মালিকরা নিবন্ধনের জন্য আরো সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকদের আহ্বায়ক আখতার উজ্জামান বলেন, এখনো প্রায় ২৫ হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ হজে যাওয়ার জন্য অভিপ্রায় জানিয়েছেন। তাদের অনেকে ইতোমধ্যে ভাউচার তৈরি করেছেন। বর্তমানে বছরের শেষ সময়ে ব্যাংক ক্লোজিং সময় হওয়ায় এবং ২৬ ডিসেম্বরের আগে অনেকগুলো সরকারি ছুটি থাকায় অনেকে ব্যাংক থেকে সময়মতো টাকা তুলতে পারেননি। এজন্য তিনি আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর দাবি জানান।
এদিকে আগামী হজে বেসরকারি এজেন্সিদের জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রী কোটা ৫০০ জন নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বেশিরভাগ এজেন্সিরই এ পরিমাণ হজযাত্রী নেই। এ কারণে যাদের কম হাজি আছে তাদের লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এজেন্সি মালিকরা মনে করেন, গত বছর হজযাত্রী কোটা ছিল আড়াইশ। তারপরও অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। হাজিদের সঠিকভাবে সেবা দেয়া যায়নি। তাছাড়া লিড এজেন্সির মাধ্যমে এক এজেন্সির হজযাত্রী অন্য এজেন্সির মাধ্যমে পাঠালে তিনি সঠিকভাবে কোনো দায়িত্ব পালন করেন না। সেক্ষেত্রে এজেন্সিগুলোর মধ্যে যেমন বৈরিতা তৈরি হয় ঠিক একইভাবে হজযাত্রীদেরও অভিযোগের কোনো শেষ থাকে না। এবার পাঁচশ জন হলে সেবার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি হবে। এ ছাড়া হজের এখনো অনেক সময় বাকি রয়েছে। অথচ মাত্র দু’দিন সময় দিয়ে লিড এজেন্সি নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে, যা অযৌক্তিক বলে মনে করেন তারা।
কোবা হজ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মাওলানা মাহমুদুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, পাঁচশ জনের কোটা থাকলে হাজিদের সেবার ক্ষেত্রে মারাত্মক বিঘœ ঘটবে। এ জন্য এটি একশ’ জনে নামিয়ে আনতে হবে। একান্ত না হলে আড়াইশ করা যেতে পারে। কোনোভাবেই এর বেশি হতে পারে না। এ ছাড়া লিড এজেন্সি নির্ধারণে তাড়াহুড়া করা হচ্ছে। এটি আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি নিয়ে আমরা হাব সম্মিলিত ফোরামের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। সেখানে আমরা বিস্তারিত জানাব।
বেসরকারি এজেন্সি মালিক রুহুল আমিন মিন্টু নয়া দিগন্তকে বলেন, লিড এজেন্সি নির্ধারণে খুবই তাড়াহুড়া করছে মন্ত্রণালয়। হজের এখনো পাঁচ মাসের বেশি বাকি। কতজন হজযাত্রী হবে সেটি সৌদিকে জানিয়ে দিলেই হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে লিড এজেন্সি নির্ধারণে মাত্র দু’দিন সময় দিয়েছে। এটা অযৌক্তিক। এ ছাড়া সর্বনিম্ন যে পাঁচশ কোটা দিয়েছে, এতে হজ ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক সমস্যা তৈরি হবে। তিনি লিড এজেন্সি নির্ধারণের জন্য সময় বাড়ানোর দাবি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা