রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই দেশ থেকে ঢুকছে অত্যাধুনিক অস্ত্র
- এস এম মিন্টু
- ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
- বিজিপির লুট হওয়া আগের অস্ত্রের সন্ধান মেলেনি ১০ মাসেও
- গত দুই মাসে ক্যাম্পে কোনো খুনাখুনি হয়নি, অস্ত্রও দেখা যাচ্ছে না : এপিবিএন প্রধান
- রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সর্বোচ্চ চেষ্টা, অস্ত্র ঢুকছে এমন তথ্য নেই : বিজিবি গোয়েন্দা প্রধান
দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিবেশী দুই দেশ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রবেশ করছে। সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী প্রতিবেশী দুই দেশে থেকে অবৈধ পথে ভারী অস্ত্রের মজুদ করছে বলে জানিয়েছে একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ওই সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত ছয়টি সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠনের মাধ্যমে অস্ত্র ঢুকানো হচ্ছে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা চরম উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনের একটি কপি নয়া দিপ্রন্তর কাছে সংরক্ষিত আছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সাথে অবৈধ আধুনিক অস্ত্রও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করছে। আরাকানের যুদ্ধ পূর্ববর্তী যেসব আরসা সদস্য আরাকানে আত্মগোপনে ছিল তারা অবৈধ অস্ত্রসহ বাংলাদেশে আবার অনুপ্রবেশ করছেন। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার সশস্ত্র সন্ত্রাসীগাষ্ঠী আরসা এবং আরএসও সঙ্ঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে। মিয়ানমার ও প্রতিবেশী ভারত থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আরসা, আরএসও ও বিভিন্ন গ্রুপের যোগসাজশে মাদক ও ভারী অস্ত্র সরাসরি প্রবেশ করে। ওই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায় মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ এবং মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছার অভাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না।
অপরদিকে সম্প্রতি উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় এক হাজার ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিক আগুনের ঘটনা মানতে রাজি নন। সেখানকার বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারা বলেন, যেমনটি ঘটেছে গত ৫ ডিসেম্বর। সেদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২২ এর বি/১ ব্লকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা ব্র্যাক প্রশিক্ষণ সেন্টারে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু রোহিঙ্গা নতুন ঘর পাওয়ার জন্য নিজেরাই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে নাটক সাজায়। এ দিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারির পর মিয়ানমারের মংডুতে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তুমুল গোলাগুলির মুখে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া বেশ কিছু অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য ফেরত দেয়নি দুর্বৃত্তরা। অস্ত্র ও বিস্ফোরক ওই সময় লুট করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে একাধিক রোহিঙ্গা মাঝি ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য সূত্র বলছে, কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ব্যবহার করে নতুন করে নীলনকশার ছক তৈরি করেছে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র। এরই মধ্যে ক্যাম্পের ভেতর অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়ে গেছে। আর এসব অস্ত্র সরাসরি আমদানি করছে সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর ছয়টি গ্রুপ। এদের মধ্যে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সলভ্যেশন আর্মি) গ্রুপের বিরুদ্ধে ডিজিএফআই কর্মকর্তাকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
গত কয়েকদিনের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা যে উদ্বিগ্নতার চিত্র তুলে ধরেছে তার মধ্যে তারা বলেছেন, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার আর্মির সাথে সঙ্ঘাতের পর রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তের অন্তত ২০টি পয়েন্টে জড়ো হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। গত ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসার সময় ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রধান অতিরিক্ত আইজি মো: আবদুল্লাহ আল মাহমুদ নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছি। সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেছি। গত দুই মাসে কোনো খুনাখুনির ঘটনা ঘটেনি। খুনাখুনি বা অস্ত্র প্রবেশের বিষয়টি আগে যা ঘটেছে তা অন্য কারণে।
কারণ জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পের অবস্থা খুব ভাল। কয়েকদিন আগে একটি বড় আগুনের ঘটনা ঘটেছে সেটির তদন্ত চলমান রয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবি সদস্য এবং কোস্ট গার্ড রয়েছে তারা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গোয়েন্দাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: ইয়াসির জাহান হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, রোহিঙ্গারা জড়ো হয়েছেন কিন্তু আমরা কাউকে টলারেট করছি না। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আর একটি রোহিঙ্গাও যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র্র থেকে অবৈধভাবে আসা অস্ত্র প্রবেশের বিষয়টি জানা নেই। তবে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতকর্তা অবলম্বন করে সেখানে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ১১ নভেম্ববর কক্সবাজারে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ মোহাম্মদ জোবায় নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৫ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়াও গত ২১ অক্টোবর কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘরে ঢুকে একই পরিবারের তিন সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২০ এক্সে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প-১৭ (এক্স) ব্লক : ১০৪-এ বসবাসরত আহাম্মদ হোসেন (৬৫), ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮) ও মেয়ে আসমা বেগম (১৫)।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে এই অনুপ্রবেশের সাথে অবৈধ অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্রও ঢুকছে। আর এ জন্য মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সর্বনিম্ন ১০ লাখ কিয়াট বিনিময় হচ্ছে। ভারী অস্ত্রের মজুদ বাড়ায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নড়চড়ে বসেছে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এক দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রধারী ওই বাহিনীর ছয় গ্রুপ বিভক্ত হয়ে পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। অপর দিকে দেশের অস্থিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র থেকে অবৈধভাবে ভারী অস্ত্র সরাসরি আনা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, মিয়ানমারের সঙ্কটের প্রভাব বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পড়ছে। তাদের সাথে স্থানীয়দের মধ্যে যেকোনো সময় সঙ্ঘাত -সহিংসতা এমনকি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে গোয়েন্দারা। সম্প্রতি অপহরণ, খুন, অগ্নিসংযোগ ও মারামারির ঘটনায় খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর সকালে মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির হাতে কক্সবাজার-বান্দরবান সীমান্তবর্তী তুমব্রু কোনারপাড়ার ওপারে মিয়ানমারের মংডু অঞ্চলে সামরিক জান্তার সর্বশেষ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ঘাঁটির পতন ঘটার ফলে সেখানে এখনো বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ ও তুমুল গোলাগুলি চলছে। বাংলাদেশের সীমান্তের ওপারে মংডুর ২৭০ কিলোমিটার এখন সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে।
ওই অঞ্চল থেকে টেকনাফের একটি অঞ্চলের দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার হওয়ায় আরাকান আর্মির তোপের মুখে মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, সুসম্পর্ক না থাকায় মংডু দখলের পর আরাকানরা সেখানের মুসলমান রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল নামার আশঙ্কা রয়েছে।
ছয়টি সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠী : বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছয়টি প্রধান সশস্ত্র সক্রিয় সংগঠন রয়েছে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সম্প্রতি এই সংগঠনগুলোর বেশ কয়েকজন সদস্য মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর হয়ে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। বিভিন্ন গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই বেশির ভাগ অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। তাই গ্রুপভিত্তিক সংঘর্ষ নিবারণের লক্ষ্যে আরসা, আরএসও, নবী হোসেন গ্রুপ, মুন্না গ্রুপ, এআরও সক্রিয় গ্রুপকে গ্রেফতারের জন্য পরামর্শ দিয়েছে গোয়েন্দারা।
প্রতিবেদনে সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে- আরসা/আল ইয়াকিন গ্রুপ (আরাকান রোহিঙ্গা সলভ্যেশন আর্মি)। এই গ্রুপের প্রধান আতাউল্লাহ আল জুনুনি। এই গ্রুপের বর্তমান সদস্য সংখ্যা আনুমানিক দেড় হাজার। গ্রুপটির বিরুদ্ধে সাবেক রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ ও ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
আরএসও গ্রুপ (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন)। এই গ্রুপের প্রধান মাস্টার আইয়ুব। বর্তমান সদস্য সংখ্যা আনুমানিক দুই হাজার। গ্রুপটি মাদক, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে। আরেকটি গ্রুপের নাম এআরও গ্রুপ (আরাকান রোহিঙ্গা অরগানাইজেশন)। এই গ্রুপের প্রধান মাস্টার আইয়ুব নূর। বর্তমান সদস্য সংখ্যা আনুমানিক চার হাজার। গ্রুপটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। নবী হোসেন গ্রুপের প্রধান নবী হোসেন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে নবী হোসেন জামিনে বেরিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। অপরটির নাম ইসলামী মাহাজ গ্রুপ। এই গ্রুপের প্রধান মৌলভী আবদুল হামিদ চৌধুরী বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। বর্তমান সদস্য সংখ্যা আনুমানিক এক হাজার। গ্রুপটি আরসা এবং আরএসও সাথে সমন্বয় রেখে সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আরেক কুখ্যাত গ্রুপের নাম নবী হোসেন গ্রুপ। গ্রুপের প্রধান নবী হোসেন। চলতি বছর তাকে গ্রেফতার করা হলেও তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। তার অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে, তিনি ক্যাম্প-৮ ইস্টের আওতাধীনে এলাকায় বসবাস করেন। আরেকটি গ্রুপের নাম মুন্না গ্রুপ। এই গ্রুপের প্রধানও মুন্না। বর্তমান সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ১০০ থেকে ২০০ জন। গ্রুপটি বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে।