২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মূল চুক্তির কাজ আলাদা চুক্তিতে দেখানোসহ তিন খাতে সরকারের ক্ষতি ৭১ কোটি টাকা

কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে দুর্নীতি
-

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সেতু বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন সড়ক টানেল নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে চুক্তির দ্বৈততা, টানেল এলাকায় বিদ্যমান বাংলোতে নামমাত্র সংস্কার এবং স্কয়ার লাইট না লাগিয়ে দুর্র্নীতির মাধমে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করে দেয়ায় সরকারের ৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মূল চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কাজকে সম্পূরক চুক্তির মাধ্যমে আলাদা কাজ হিসেবে সম্পাদন দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এতে সরকারের ৫৮,১৬,৬৮,৭৯৫ (আটান্ন কোটি ষোলো লাখ আটষট্টি হাজার সাত শত পঁচানব্বই) টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া টানেল এলাকায় বিদ্যমান বাংলোতে নামমাত্র সংস্কারকাজে অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধে সরকারের ১০,২৭,৮৭,০০০ (দশ কোটি সাতাশ লাখ সাতাশি হাজার) টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া স্কয়ার লাইট সরবরাহ ও স্থাপন ব্যতীত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় সরকারের ৩,১১,৬০,৪০০ (তিন কোটি এগারো লাখ ষাট হাজার চার শত) টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই অনিয়মের বিষয়ে বাংলাদেশ কম্পট্রোলার-এর অডিটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে অডিট সম্পাদন করা হয়েছে। চিহ্নিত অনিয়মের ভিত্তিতে রিপোর্ট প্রস্তুত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে; কিন্তু উদঘাটিত দুর্নীতির এই ফাইল সেতু ভবনে গত ১০ মাস যাবৎ চাপা পড়ে রয়েছে। কর্তৃপক্ষকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সেতু বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন সড়ক টানেল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মূল চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কাজকে সম্পূরক চুক্তির মাধ্যমে আলাদা কাজ হিসেবে সম্পাদন দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় সরকারের ৫৮,১৬,৬৮,৭৯৫.০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
নিরীক্ষাকালে চুক্তিপত্র, আইপি (ইন্টেরিম পেমেন্ট), ভেরিয়েশন অর্ডার ও বিওকিউ পর্যালোচনা দেখা যায় যে, প্যাকেজ নাম্বার ডব্লিউডি ১-এর আওতায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজের জন্য ২০১৫ সালের ৩০ জুন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ/ঝ ঈযরহধ ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ পড়সঢ়ধহু খঃফ.-এর সাথে ৭০৫,৮০০,০০০ মার্কিন ডলার মূল্যের একটি ইপিসি-টার্নকি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
প্রকল্পে লে-আউটে প্ল্যান অনুযায়ী প্রকল্পের লোকেশন হলো পশ্চিম পাশের পতেঙ্গা রোড থেকে মূল টানেল, ভায়াডাক্ট এবং টোল প্লাজা হয়ে পূর্ব পাশে বিদ্যমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রোড পর্যন্ত। বর্ণিত চুক্তির ক্লজ নাম্বার ১.১.৬.১০ (চুক্তির আওতায় প্রকল্প কাজের পরিধি (ংপড়ঢ়ব ড়ভ ঢ়ৎড়লবপঃ) অনুযায়ী এট গ্রেড রাস্তা (অঃ এৎধফব), টানেলের মূল অংশ নির্মাণ (ভায়াডাক্ট, ওপেন কাট, কাট অ্যান্ড কাভার, ভেন্টিলেটর স্যাফ্ট), পশ্চিম পাশে ৫৫০ মিটার এবং পূর্ব পাশে ৫৪০০ মিটার সংযোগ সড়ক, ক্রস পাসেজ, টোল প্লাজা এবং সংলগ্ন ভবনসহ নির্মাণকাজ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
টার্নকি চুক্তির সাধারণ শর্ত নম্বর ৫.১ (নকশা) অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্ত কর্তৃপক্ষের রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী ঠিকাদার বাধ্যবাধকতা ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে নকশা প্রণয়নপূর্বক কাজের পরিমাপ নির্ধারণ করেন। সুতরাং টার্নকি চুক্তির আওতায় ভেরিয়েশনের সুযোগ নেই। আবার টার্নকি চুক্তির সাধারণ শর্ত নম্বর ৫.৮ (নকশা ত্রুটি) যদি চুক্তির নকশাতে ত্রুটি, কোনো আইটেম বাদ পড়া, অস্পষ্টতা, অসঙ্গতি বা অন্যান্য ত্রুটি পাওয়া যায়, তবে ঠিকাদারের নিজ খরচে সংশোধন করতে হবে। সুতরাং টার্নকি চুক্তির আওতায় ভেরিয়েশনের ব্যয় ঠিকাদার বহন করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঋওউওঈ ১৯৯৯ (ংরষাবৎ নড়ড়শ) ব্যবহার করে ঊচঈ-ঞঁৎহশবু ভিত্তিতে চায়না এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন সড়ক টানেল প্রকল্প নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির ঈড়হফরঃরড়হ ড়ভ পড়হঃৎধপঃ ভড়ৎ ঊচঈ-ঞঁহৎশবু ২০১৭ ্১৯৯৯-এর ক্লজ নাম্বার ১৩.১ (এ) অনুযায়ী ভেরিয়েশন জারির ক্ষেত্রে প্রকল্পের কাজের প্রকৃতি, পরিধির আওতায় অতিরিক্ত কাজটি অপ্রত্যাশিত ছিল এবং প্রকল্প বাস্তায়নের জন্য প্রয়োজনীয় এ রূপ অপ্রত্যাশিত কাজের ক্ষেত্রে ভেরিয়েশনের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
প্রকল্পের স্কোপ অব ওয়ার্ক এবং নকশায় অন্তর্ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও ২০২২ সালের ১৭ আগস্টথপূর্ব পাড়ের ৫.৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং পশ্চিম পাড়ের আন্ডারপাসের কাজের জন্য জিওবি অর্থায়নে একই ঠিকাদারের সাথে ৫৮,১৬,৬৮,৭৯৫.০০ টাকা মূল্যে একটি সম্পূরক চুক্তি করা হয়। প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সব সংযোগ সড়ক ও আন্ডারপাস চুক্তির আওতায় নির্মিত হবে। যার ব্যয় চুক্তিমূল্যের (৭০৫,৮০০,০০০.০০ মার্কিন ডলারে) অন্তর্ভুক্ত। এ ক্ষেত্রে আলাদাভাবে ভিন্ন চুক্তির আওতায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ঞঁৎহশবু চুক্তির আওতায় প্রকল্প এরিয়া, কাজ এবং কর্তৃপক্ষের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে নকশা প্রণয়ন করা ঠিকাদারের দায়বদ্ধতা বিধায় কর্তৃপক্ষের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে নকশা প্রণয়ন করবেন এবং সে আলোকে কার্যচুক্তি সম্পাদন করবেন। এ ছাড়া টানেলের সংযোগ সড়ক, আন্ডারপাসের কাজ অপ্রত্যাশিত নয়।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পূরক চুক্তির অধীনে পূর্ব পাশে এক্সেস রোড, টোল প্লাজা, মূল টানেল এবং পশ্চিম পাশে বিদ্যমান সংযোগ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজগুলো মূল চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কাজকে সম্পূরক চুক্তির মাধ্যমে আলাদা কাজ হিসেবে সম্পাদন দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় সরকারের ৫৮,১৬,৬৮,৭৯৫.০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই অনিয়মে চুক্তির শর্ত ক্লজ নম্বর ১.১.৬.১০ ও ১৩.১ (এ) এবং চুক্তির সাধারণ শর্ত নং-৫.১ (নকশা) ও ৫.৮ (নকশা ত্রুটি) লঙ্ঘন হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিরীক্ষিত প্রতিষ্ঠানের জবাবে অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদের দেয়া তথ্য আপত্তির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কারণ, চুক্তির ঈড়হফরঃরড়হ ড়ভ পড়হঃৎধপঃ ভড়ৎ ঊচঈ-ঞঁহৎশবু ২০১৭, ১৯৯৯-এর ক্লজ নাম্বার ১৩.১ (এ) অনুযায়ী প্রকল্পের কাজের প্রকৃতি, পরিধির আওতায় অতিরিক্ত কাজটি অপ্রত্যাশিত হলে ভেরিয়েশন আদেশ জারি করা যাবে। প্রকল্পের এট গ্রেড রাস্তা, ভায়াডাক্ট, ওপেন কাট, কাট অ্যান্ড কাভার, ভেন্টিলেটর স্যাফ্ট, সংযোগ সড়ক, ক্রস পাসেজ টোল প্লাজা ও ভবনসহ নির্মাণকাজগুলো চুক্তিতে ছিল বিধায় সম্পাদিত কাজগুলো অপ্রত্যাশিত কাজ নয়। সুতরাং উল্লিখিত কাজগুলোর ভেরিয়েশন করার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে নিরীক্ষার সুপারিশে বলা হয়, দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে উল্লিখিত অর্থ আদায়ের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ওই অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।
বাংলোতে নামমাত্র সংস্কারকাজে অস্বাভাবিক ব্যয়
টানেল এলাকায় বিদ্যমান বাংলোতে নামমাত্র সংস্কারকাজে অস্বাভাবিক ব্যয় দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধে সরকারের আর্থিক ক্ষতি ১০,২৭,৮৭,০০০.০০ (দশ কোটি সাতাশ লাখ সাতাশি হাজার) টাকা। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ চুক্তির পিএস আইটেম নাম্বার ১.৩.১১-এর আওতায় টানেলের পশ্চিম তীরে অবস্থিত সার্ভিস এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অধিগ্রহণকৃত দুই তলাবিশিষ্ট ভবনকে প্রকল্পের অফিস ও বাসস্থান হিসেবে ব্যবহারের জন্য মেরামত করে। এ বাবদ মূল ঠিকাদারকে প্রভিশনাল সাম থেকে প্রাক্কলন ও দরপত্র ব্যতীত মাইলস্টোনের (লামসাম) ভিত্তিতে ১০,২৭,৮৭,০০০ টাকা (৯,৪৩,০০০.০০ মার্কিন ডলার) বিল পরিশোধ করা হয়।
যদিও প্রকল্প কর্তৃপক্ষের জন্য প্রকল্পের অফিস ও বাসস্থান নির্মাণের জন্য চুক্তির জেনারেল ফ্যাসিলিটিসের আওতায় আইটেম নাম্বার ০১১২-০০০-তে ৮০,৩৮,১১,৩৩৫.২৮ টাকা (৭৩,৭৪,৪১৫.৯২ মার্কিন ডলার) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তথাপি আইপিসি নাম্বার ৩৭, তারিখ : ৩০-০৬-২০২৩ খ্রি:-এর মাধ্যমে ঠিকাদারকে ৮০,৩৮,১১,৩৩৫.২৮ টাকা চূড়ান্ত পরিশোধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূল চুক্তির বিওকিউ আইটেমের অন্তর্ভুক্ত কাজকে (প্রকল্পের অফিস ও বাসস্থান নির্মাণ) পুনরায় পিএস আইটেমে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই।
অধিগ্রহণকৃত ভবনের বাস্তব যাচাইয়ে দেখা যায়, ৬০দ্ধ৪০ ফুট সাইজে বিদ্যমান ভবনের ফ্লোর টাইলস, রঙ, ইলেক্ট্রিক লাইট ও ফিটিংয়ের কাজ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ১,০০,০০,০০০.০০ টাকা। কিন্তু পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশক্রমে ওই কাজের বিপরীতে ১০,২৭,৮৭,০০০.০০ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ওই কাজ বাস্তবায়নের সমর্থনে নকশা, প্রাক্কলন, কাজের বিবরণ চাওয়া হলেও নিরীক্ষায় তা উপস্থাপন করা হয়নি বিধায় উল্লিখিত সংস্কারকাজটি প্রকৃতপক্ষে মূল ঠিকাদার কর্তৃক সম্পাদিত হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই অনিয়মের চুক্তির শর্ত নম্বর ১৩.৫ লঙ্ঘন ।
এ ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত প্রতিষ্ঠানের জবাব অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদের জবাব আপত্তি নিষ্পত্তির সহায়ক নয়। কারণ, এক কোটি টাকা কাজ করা সত্ত্বেও ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে প্রভিশনাল সাম থেকে পরিমাপ রেকর্ড এবং বিল-ভাউচার ব্যতীত বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যেহেতু, সাইট অফিস এবং আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য মূল কাজের অধীনে বিল পরিশোধ করা হয়েছে সেহেতু অধিগ্রহণকৃত ভবনের মেরামত দেখিয়ে অফিস ও বাসস্থান ভবন হিসেবে ব্যবহার দেখানোর সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রেও বিল সুপরিশকারী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং বিল পরিশোধকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকরত আপত্তিকৃত অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করতে বলা হয়েছে।
স্কয়ার লাইট স্থাপন ব্যতীত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ
এ ছাড়া স্কয়ার লাইট সরবরাহ ও স্থাপন ব্যতীত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩,১১,৬০,৪০০.০০ (তিন কোটি এগারো লাখ ষাট হাজার চারশত) টাকা।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে চুক্তির আইটেম নাম্বার-০৯১৬-০০৮ (স্কয়াার লাইট) সরবরাহ বাবদ ঠিকাদারকে ৩,১১,৬০.১২ মার্কিন ডলার ১০০ টাকা হারে সমপরিমাণ ৩,১১,৬০,৪০০.০০ টাকার বিল প্রদান করে। চুক্তির কস্ট সেন্টার আইটেম নং-০৯১৬-০০৮ অনুযায়ী টোল প্লাজা এলাকায় স্কয়ার লাইট স্থাপন করার সংস্থান ছিল। নিরীক্ষাকালে স্থানীয় পরিদর্শন ও আমদানিসংক্রান্ত ডকুমেন্টস থেকে দেখা যায় যে, স্কয়ার লাইট আমদানি এবং সংশ্লিষ্ট কাজে স্কয়ার লাইট স্থাপন করা হয়নি। ফলে ঝয়ঁধৎব ষরমযঃ সরবরাহ ও স্থাপন ব্যতীত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় সরকারের ৩,১১,৬০,৪০০.০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ অনিয়মের কারণে চুক্তির আইটেম নাম্বার ৯ লঙ্ঘন হয়েছে।
এ বিষয়ে নিরীক্ষিত প্রতিষ্ঠানের জবাব অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, জবাব আপত্তি নিষ্পত্তির সহায়ক নয়। কারণ, ঝয়ঁধৎব ষরমযঃ নামের আইটেমটি আমদানির কোনো প্রমাণক পাওয়া যায়নি এবং টানেলের টোল প্লাজা এরিয়ায় বাস্তব যাচাইকালে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আইটেমটি সরবরাহ ও স্থাপন দেখাতে সক্ষম হয়নি। এ ব্যাপারে কাজ সম্পাদন না করেই বিল প্রদান করার সাথে জড়িত দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণকরত আপত্তিকৃত অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে অবশ্যই জমা করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement