অবকাঠামোকে উছিলা করে লুটপাট ও অর্থ পাচার করা হয়েছে : সারজিস আলম
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে উন্নয়ন দেখিয়েছে মেট্রো রেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলের মতো কিছু অবকাঠামো দিয়ে। কিন্তু একটা দেশের উন্নতি কেবল কিছু অবকাঠামো দিয়ে হতে পারে না। এই অবকাঠামোগুলো মানুষের চোখের সামনে দিয়ে ভেতরে ভেতরে দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার করা হয়েছে। কেউ যখন কোনো অবকাঠামোকে উছিলা করে লুটপাটের সমাজ্য চালায় তখন তা বৃহৎ অর্থে দেশের জন্য সমস্যা। যেই প্রকল্প ২০ হাজার কোটি টাকায় হয়ে যেত সেই প্রকল্প চুরি বাটপারি সিন্ডিকেট লুটপাট স্বজনপ্রীতি করে যখন ৩৫ হাজার কোটি টাকায় ঠেকায় সেটি দেশের জন্য সমস্যা। পদ্মা সেতু করার পরে পদ্মা সেতু রেলওয়ে প্রকল্পে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। যেই সময়ে দেশে হাজারটা জিনিস ছিল তা তার আগে করা উচিত ছিল। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এক হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন।
চীন এই প্রকল্পে যখন সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসে তখন ভারতের দিকে তাকিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যখন এই প্রকল্প আর সামনের দিকে আগায় না তখন তা বাংলাদেশের জন্য সমস্যা।
তিনি গতকাল দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে ‘পঞ্চগড় রাইজিং’ মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশে একাধিক রাজনৈতিক দল আসবে। তবে জাতীয় নাগরিক কমিটি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দল হবে না। জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি রাজনৈতিক শক্তি। রাজনৈতিক দল রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি রাজনীতি করে ভোটের নির্বাচনে যায়। জাতীয় নাগরিক কমিটি আগামীর বাংলাদেশে লিডারশিপ তৈরি করবে। পাশাপাশি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে। একই সাথে এটি জাতীয় পর্যায়ের একটি ইন্সটিটিউট হবে।
সারজিস বলেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দেশে লিডার তৈরি হয়নি, তৈরি হয়েছে কিছু দাস আর নীরব কিছু দর্শক। আগামীর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি উন্নয়ন করতে চাই তাহলে আগে আমাদের লিডার তৈরি করতে হবে। লিডার হিসেবে যাদের শিক্ষা, দক্ষতা ও জ্ঞান থাকবে। লিডার হিসেবে এই মানসিকতা থাকবে যে কেউ অনুসারী না সবাই সহযোদ্ধা। এই অভ্যুত্থানে যারা ছিল তাদের নিয়েই হয়তো এই রাজনৈতিক দল আসবে। তবে যে রাজনৈতিক দলে যাবে তারা নাগরিক কমিটিতে থাকতে পারবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ যদি ওই রাজনৈতিক দলে যেতে চায় তাহলে তাকে তার সব পদ ছেড়ে যেতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তার জায়গাতেই থাকবে। আবার যদি কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠে তার বিরুদ্ধে আবারো এখান থেকেই যে কেউ আন্দোলনের ডাক দিতে পারবে।