রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজকীয় দল গঠনের চেষ্টা করছে : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজকীয় দল গঠনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘আপনারা কোন পথে যেতে চান। আমরা শুনছি যে, একটা রাজকীয় দল করার নাকি চেষ্টা করা হচ্ছে, কিংস পার্টি যেটাকে বলা হয়। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনরা যে চেষ্টা করেছেন, শেখ হাসিনা গোয়েন্দাদেরকে দিয়ে যে কাজ করেছেন এখনো তো আমরা সেটা শুনছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনছি গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষজনকে বলছে যে, অমুক অমুক লোকের সাথে আপনারা যোগাযোগ করুন। এটা তো তারা করতে পারে না। এটা হলে তো মানুষের যে এত আত্মদান সেটা তো করতে হতো না। এই পরিস্থিতি যদি আবার ফিরে আসে যে, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কারা কারা নির্বাচিত হবেন, কারা কোন রাজনৈতিক দল করবেন এটা যদি নির্ধারণ করে দেন তাহলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আর কী সার্থকতা থাকল?’
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘২২ ডিসেম্বর : রক্তাক্ত মতিহার ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন। যেখানে মানুষ যে রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করে তাকে তারা ভোট দেবে, যে মানুষ যে রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় তারা সেভাবে রাজনৈতিক দল গঠন করবে। এখানে কোনো নির্দেশনা, কোনো হুমকি, রাষ্ট্রের কোনো খবরদারি থাকবে না। এটাই হচ্ছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ, এটাই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেটা না করে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের মতো, হোসাইন মুহম্মদ এরশাদের মতো এবং শেখ হাসিনার মতো একই কালচার, একই সংস্কৃতির যদি পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে তো মানুষ মনে করবে আরেকটি ফ্যাসিবাদ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। এটা হতে দেয়া যেতে পারে না।
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে জনমনে প্রশ্ন
রিজভী বলেন, আমরা সংবাদপত্রে দেখেছি যে, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি চেয়ে পাঠিয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই নথি চাওয়ার পরেই গভীর রাতে আগুন লেগেছে। এতে জনগণের মধ্যে বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমি এই বিষয়ে এটাই বলতে চাই, একেবারে উচ্চপর্যায়ের নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে একটা তদন্ত হওয়া উচিত। কারণ শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের কিছু নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে অনেক নথি পুড়ে যাওয়া এবং সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে, মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
রিজভী বলেন, চারিদিকের বিভিন্ন ঘটনায় আমরা শঙ্কিত, আমরা ভয়ার্ত। ব্যক্তিগত ভয়ের কিছু নয়, রাষ্ট্র নিয়ে আমাদের ভয়। আমরা এর আগে দেখেছি, যখন কোনো সচিব বা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ আসে তখনই সচিবালয়ে ফাইল গায়েব হয়ে যায়, সচিবালয়ের ভেতরে আগুন ধরে।
সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো: মোকাম্মেল কবীরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে হাবিবুর রহমান হাবিব, মীর সরাফত আলী সপু, সৈয়দ শাহীন শওকত, ওবায়দুর রহমান চন্দন, রমেশ দত্তসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা