২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শস্য বীজে আবুল কালামের ঐতিহাসিক স্থাপনা

শস্য বীজে আবুল কালামের ঐতিহাসিক স্থাপনা -


শস্য বীজ দিয়ে দেশের প্রাগ ঐতিহাসিক সব স্থাপনা তৈরি করে দেশপ্রেম ও ব্যতিক্রম শিল্প মেধার পরিচয় দিয়েছেন শিল্পী আবুল কালাম আজাদ। তার শিল্প স্থাপনার মধ্যে রয়েছে- আহসান মঞ্জিল, পানামা নগর, নাটোর রাজবাড়ী, আটিয়া মসজিদ, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং, তাজহাট রাজবাড়ী, ধনবাড়ী জমিদারবাড়ী, কান্তানগর মন্দির, ময়নামতী, বালিয়াটি প্রাসাদ, কারজন হল, সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর, পরী বিবির সমাধি, উয়ারী বটেশ্বর, সোমপুর মহাবিহার, নুনগোলা মসজিদ, ষাট গম্বুজ মসজিদ, ইন্দ্রাকপুর কেল্লা, শীতলাই হাউজ, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় জাদুঘর ও নিমতলী কুঠিসহ প্রাচীন সব ভবন। এ ছাড়া তার রয়েছে চা গাছের ফসিল ও মহিষের সিং দিয়ে তৈরি শিল্পকর্ম।

শিল্পী জানান, সব সময় তিনি ব্যতিক্রম কিছু নিয়ে কাজ করতে বেশি আগ্রহবোধ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৩ থেকে সিটি বিউটি ফিকেশন কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ২০১২ সাল থেকে বীজ দিয়ে তৈরি স্থাপনার শিল্পকর্ম শুরু করেন। বিগত ১৩ বছর ধরে তিনি তা নিয়েই কাজ করছেন।
তার ভাষ্য তিনি নতুন করে জাতির সামনে আরো ব্যতিক্রম কিছু তুলে ধরা যায় কি না তার চিন্তা করছেন।
ব্যতিক্রম এই শিল্পী জানান, এরই মধ্যে তার শিল্পকর্ম নিয়ে একাধিক প্রদর্শনী হয়েছে। লাউ, করলা, মুলা, ধুন্দল, বরবটি থেকে শুরু করে দেশীয় সব শস্য বীজ এতে ব্যবহৃত হয়েছে। তার ভাষ্য, দিন অতিবাহিতের সাথে নতুন প্রজন্ম দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো হারাতে বসেছে। তাই তাদের মধ্যে এগুলো পরিচিত করতে বীজ দিয়ে ভিন্নভাবে এগুলোর আকৃতি তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে দেশীয় শস্য ও বীজের সাথেও তাদের পরিচিত করার প্রয়াস হয়েছে।
তিনি বলেন, সব সময় দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই বিএনপি সরকারের সময়ে নগর পরিকল্পনা অর্থাৎ সিটি বিউটি ফিকেশন কার্যক্রমের বিষয়েও তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর এ নিয়ে একটি প্রকল্প শুরু করে ঢাকা শহর সাজাতে প্রায় একযুগ কাজও করেছেন। কিন্তু একটা সময় ক্ষমতার পালাবদলে তা থেমে যায়।

তিনি জানান, তার শিল্পকর্মে ব্যবহৃত বীজ সবই ন্যাচারাল। এতে কোনো ধরনের রং ব্যবহার হয়নি। অনেক খাবার থেকে পাওয়া বিভিন্ন শস্যের হুবহু বীজ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন সবুজায়ন ও সুন্দর ঢাকা নগরী গড়তে নিজ অর্থায়নে দীর্ঘ দিন তিনি কাজ করেছেন। এ ছাড়া নগর ভবনের (ডিএসসিসি) ব্যাংক ফ্লোরের নিজ অর্থায়নে লোহার ঢালাইকৃত কারুমণ্ডিত ৬টি চেয়ার স্থাপন করেন।
শিল্পী আবুল কালাম আজাদ সম্পূর্ণ বেসরকারি অর্থায়নে নগর সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় ঢাকা সিটি বিউটিফিকেশন নামে ঢাকা সিটি করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছে তাহা বী অ্যান্ড প্রিন্টিং থেকে প্রস্তাবনা, সুপারিশ ও নকশা আকারে ২০০৩ সালের ১৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা দেন। পরের বছর সিটি বিউটিফিকেশন নামে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু করেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) তত্ত্বাবধানে তার কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হওয়ায় সরকারি স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক পুরস্কৃত হন।


আরো সংবাদ



premium cement
কারো বাবা ডাক শুনলেই আমার সন্তানেরা ডুকরে কেঁদে ওঠে : শহীদ ফারুকের স্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ কর্মকর্তা নিহত শিরোপা ধরে রাখতে প্রস্তুত শক্তিশালী বরিশাল মধ্য ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হাউছিদের সচিবালয়ের আগুন নেভাতে এত সময় লাগল কেন সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে, এক গেট দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশ কাপ্তাইয়ে ৪২ ঘণ্টা পর ভেসে উঠলো ২ বন্ধুর লাশ কুড়িগ্রামে খেজুর রসের ঐতিহ্যে ভাটা সচিবালয়ে আগুন : তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বান্দরবানে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগে সরকারের নিন্দা

সকল