স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী করার পরামর্শ
সিজিএসের আলোচনা- বাসস
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২
দেশের বেসামরিক প্রশাসনকে কার্যকর করতে স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তারা বলেছেন, দেশের প্রশাসনে ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা এখনো বিদ্যমান। প্রথাগত ইস্ট-ইন্ডিয়া ধরনের ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এলে বেসামরিক প্রশাসন থেকে মানুষ আরো বেশি পরিষেবা পাবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘ডায়ালগ ফর ডেমোক্র্যাটিক রিকনস্ট্রাকশন অন সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আলোচকরা এ পরামর্শ দেন।
সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সিজিএসের চেয়ারপারসন মুনিরা খান, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি ড. মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, নৈতিক সমাজ বাংলাদেশের সংগঠক মেজর জেনারেল (অব:) আমসা আমিন, বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, সাবেক সচিব সুলতানা আফরোজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার, সাবেক সচিব ইব্রাহীম খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইফাহ আছারিরাহ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কো-অর্ডিনেটর তাহমিদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দেশে একটি কার্যকর বেসামরিক প্রশাসন গঠনে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বেসামরিক প্রশাসনে রাজনৈতিক দলগুলোর অধিভুক্ত পেশাদার সংগঠনগুলোকে অনুমতি না দেয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এই সংস্থাগুলো আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে। প্রশাসনে চাটুকারিতার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংস্কৃতি আমলাদের মধ্যে রাজনীতিকরণের সৃষ্টি করে। প্রশাসনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমলাদের জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থান থেকে উদ্ভূত নতুন সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) রাজনীতিমুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গত ১৫ বছরে অনেক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রাজনীতিকরণ হয়েছে। তারা আরো বলেন, সচিবালয়ে প্রশাসন অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত, তাই প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে সবাইকে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। প্রশাসনে পাবলিক ফিডব্যাক সিস্টেম চালু করার পরামর্শ দিয়ে বক্তারা বলেন, মানুষ যাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কে তাদের মূল্যবান মতামত দিতে পারে। কারণ প্রশাসনে তাদের মতামত নিয়ে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা