২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

১৭ বছর পর মুক্ত সালাম পিন্টু

১৭ বছর পর মুক্ত সালাম পিন্টু -

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু প্রায় ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় কারা ফটকে স্বজন ও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।
মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আবদুস সালাম পিন্টুকে আমাদের মধ্যে ফিরে পেয়ে আমরা শুধু আনন্দিত নই, অনেক বেশি শক্তিশালী হলাম। মওলানা ভাসানীর সাথে কাজ করেছেন এমন একজন নেতার উপস্থিতি বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, কি দুর্ভাগ্য একজন আইনজ্ঞ, জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জঙ্গি মামলা দেয়া হয়েছে। রিজভীসহ আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাও দেয়া হয়েছে। একটি ফ্যাসিস্ট সরকার এমনই করে; কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী তারা সবসময় পালিয়ে যায়। আর সালাম পিন্টুর মতো মানুষেরা মুক্ত হয়।
এ সময় আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আবদুস সালাম পিন্টু ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন। তিনি জানান, মুক্তির আগে তার যাবতীয় কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার হন তিনি। তখন থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন। ওই মামলায় তার ফাঁসির দণ্ডাদেশ হয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement