২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

চিনির বদলে গুড় খান

-

মিষ্টি খাবার আমাদের মন ভালো করে দেয়। তবে সাদা চিনি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। কারণ প্রক্রিয়াকরণের কারণে সাদা চিনিতে ক্যালরি ছাড়া অন্য কোনো খনিজ উপাদান থাকে না। চিনি দ্রুত রক্তে মিশে রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন বাড়িয়ে দেয়, তেমনি ওজন বাড়াতেও এর ভূমিকা আছে। এ ক্ষেত্রে গুড় পরিশোধিত চিনির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। কারণ এতে বেশি চিনির তুলনায় পুষ্টি থাকে এবং এটি কম প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ৭০ গ্রাম সুক্রোজ থাকে যেখানে একই পরিমাণ চিনিতে থাকে ৯৯ গ্রাম। এ ছাড়া গুড়ে প্রায় ৩৮৩ ক্যালরি, ফ্রুক্টোজ ১০ গ্রাম, প্রোটিন ০ দশমিক ৪ গ্রাম, চর্বি বা ফ্যাট শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, আয়রন ১১ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ৭০-৯০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১ দশমিক ৫৬ মিলিগ্রাম, ম্যাংগানিজ শূন্য দশমিক ২ থেকে শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন এ, সি, ই, ক্যালসিয়াম, জিংক, ফসফরাস ও কপার থাকে।

গুড়ে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো ভিটামিন এবং খনিজ। এগুলো রক্তচাপ, হজম এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে পরিশোধিত চিনিতে এই পুষ্টি উপাদানগুলোর কোনোটিই থাকে না।
চিনির চেয়ে গুড় হজম করা সহজ। কারণ এটি রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় না। পরিশোধিত চিনি একাধিকবার প্রক্রিয়া করা হয়, যা প্রাকৃতিক ফাইবার এবং পুষ্টি অপসারণ করে।
চিনির তুলনায় গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কারণ গুড়ে বেশ কিছু উপকারী খনিজ উপাদান মেলে। কিন্তু তাই বলে গুড়ও কিন্তু বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। কারণ অন্যান্য খনিজ উপাদানের পাশাপাশি উচ্চমাত্রার ক্যালরিও রয়েছে এতে। ফলে চিনির মতো গুড়ও একইভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিনির মতো গুড়কেও বাদ দিতে হবে। বেশি বেশি চিনি বা গুড় খেলে স্থূলতার প্রবণতা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ওজন পরবর্তীকালে হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইন্টারনেট।

 


আরো সংবাদ



premium cement