৫৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা করেছে বিএসসি
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪
শেয়ারহোল্ডারদের বদৌলতে সরকারকে পৌনে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। বাংলাদেশের সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা দৃষ্টান্ত বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, শেয়ারহোল্ডাররা।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের আস্থা বিএসসির ওপর থাকায় এই কাজটি সম্ভব হয়েছে এবং এটি একটি বড় কথা। আপনারা জানেন শেয়ারবাজারের দুর্দিনের কথা। কোনো প্রতিষ্ঠান এখন লভ্যাংশ দিতে পারছে না বিগত সময়ের চুরিচামারির কারণে। কিন্তু বিএসসি সে জায়গায় সম্মানজনক লভ্যাংশ তার শেয়ারহোল্ডারদের দিতে পেরেছে। বর্তমানে পাঁচটি জাহাজ নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের লাভ দিয়েছে। যদিও ছয়টি জাহাজের মধ্যে একটি ইউক্রেনে ক্ষতি হয়েছে। আগামীতে এই লভ্যাংশ আরো বৃদ্ধি পাবে।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা আরো জানেন ইতোমধ্যে বিএসসির বহরকে বড় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সে জন্য চাইনিজ প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলে আমরা চুক্তি সই করে ফেলব এবং দুই বছরের মধ্যে জাহাজগুলো পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শিপিং করপোরেশন নিজের অর্থায়নে দুইটি বাল্ক ক্যারিয়ার কিনবে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি যেখানে আমরা এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ব্যবহার হয়েছে এমন জাহাজ কিনব। এর মধ্যে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাপানে দুইটি জাহাজের সন্ধান পেয়েছেন। আমি বা আমাদের প্রতিনিধি কেউ গিয়ে সব ঠিক পেলে আমরা অন দ্য স্পট জাহাজ কিনে ফেলব। আশা করি জাপানি শিপ অবশ্যই ভালো হবে।
৫৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ নিট মুনাফা রয়েছে উল্লেখ করে বিএসসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক বলেন, ৪৮৭ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে এই এক বছরে। এ ছাড়া অন্য খাতে আয় হয়েছে প্রায় ১০৮ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা। সর্বমোট প্রায় ৫৯৬ দশমিক ১৯ কোটি টাকা আয় হয়েছে বিএসসির। আয়ের বিপরীতে ১৮৯ দশমিক ৬১ কোটি টাকা পরিচালনা ব্যয় হয়েছে। প্রশাসনিক ও আর্থিক খাতে ব্যয় হয়েছে ১২১ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা। সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৩১১ দশমিক ৬০ কোটি টাকা। এ অর্থ বছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থার নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিট আয় বেড়েছে প্রায় তিন দশমিক ৪০ কোটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট আয় হয়েছিল ৬৬৭ দশমিক ২৩ কোটি টাকা ও মোট ব্যয় হয়েছিল ৩৭৫ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা এবং কর সমন্বয়ের পর নিট মুনাফা হয়েছিল ২৪৬ দশমিক ২৯ কোটি টাকা। নিট আয় বেড়েছে প্রায় তিন দশমিক ৪০ কোটি টাকা। নিট লাভের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের দেয়ার সুপারিশ করা হয়েেেছ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা