২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সড়ক দুর্ঘটনাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে : তথ্য উপদেষ্টা

রাজধানীতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় সংলাপে বক্তব্য রাখছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম : নয়া দিগন্ত -


সড়ক দুর্ঘটনাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত দুর্বলতা অনেকাংশে দায়ী। যেসব কাঠামোগত উন্নয়ন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, সেসব উন্নয়ন অর্থহীন। তাই আমাদের মৌলিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রয়োজন।
গতকাল শনিবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কারবিষয়ক জাতীয় সংলাপে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সড়ক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই। পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। এর পাশাপাশি পরিবহন খাতে রাজনৈতিক দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। ওই আন্দোলনের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাথায় নিরাপদ সড়কের বিষয়টি গেঁথে গিয়েছে। এ সময় উপদেষ্টা সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যের বরাত দিয়ে সংলাপে জানানো হয়, ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সংলাপে আরো জানানো হয়, গণপরিবহন ৫৩ শতাংশ যাত্রী বহন করে, আর ব্যক্তিগত যানবাহন ১১ শতাংশ যাত্রী বহন করে। অথচ ব্যক্তিগত যানবাহন ৭০ শতাংশ সড়ক দখল করে চলে। ৩০ শতাংশের কম জায়গায় চলে গণপরিবহণ। এটি সাধারণ মানুষের প্রতি চরম বৈষম্য।
সংলাপের শুরুতে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ এম ফেরদৌস খান। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংলাপে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর, নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানসহ পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টরা বক্তব্য প্রদান করেন।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকা প্রকাশ
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বা আহত হওয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেলের দলনেতা (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার জহিরুল ইসলামের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শহীদ বা আহত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ৬৪টি জেলায় গঠিত জেলা কমিটি এবং গণঅভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের তালিকা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইট (https://musc.portal.gov.bd) এ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপের উল্লিখিত খসড়া তালিকা দুটি আগামীকাল ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত খসড়া তালিকা দুটিতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/চূড়ান্ত করতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিদেরকে মতামত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত/পরামর্শ থাকলে অথবা সংযোজন/বিয়োজন করার মতো যুক্তিসঙ্গত কোনো তথ্য থাকলে তা ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ইমেইলে ([email protected]) জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

 


আরো সংবাদ



premium cement