চিকেন নেকের নিরাপত্তায় সক্ষম ভারত, সমস্যা হলে কঠোর মোকাবেলা : অমিত শাহ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, শিলিগুড়ি করিডোর নিরাপদ আছে। এই করিডোরের নিরাপত্তায় সক্ষম ভারতীয় বাহিনী। সেখানে কোনো সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা কঠোরতার সাথে মোকাবেলা করা হবে। অমিত শাহ গত শুক্রবার ৬১তম রেইজিং ডে উপলক্ষে শিলিগুড়িতে সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি)- সদর দপ্তরে যান তিনি। সেখানে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিলিগুড়ি করিডোরের কৌশলগত গুরুত্ব জোর দিয়ে তুলে ধরেন। তবে এসএসবির কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় অমিত শাহ বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ভারত উপমহাদেশের একটি ‘স্লিমেস্ট’ অংশ হলো এই শিলিগুড়ি করিডোর। এটি ভারতের বাকি অংশের সাথে পুরো উত্তরপূর্বাঞ্চলকে যুক্ত করেছে। এসএসবির হাতে নিরাপদ আছে এই অঞ্চল। এ অঞ্চলে এসএসবির উপস্থিতি আমাদের আস্থা বাড়িয়েছে। আমরা বলতে পারি এই করিডোর নিরাপদ আছে।
ভারতীয় অনলাইন মিডিয়া টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিলিগুড়ি করিডোর চিকেন নেক নামেও পরিচিত। এর উত্তরে নেপাল। দক্ষিণে বাংলাদেশ। এই চিকেন নেক প্রায় ২৪ কিলোমিটার চওড়া। চীন সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব ২০০ কিলোমিটারেরও কম। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দায়িত্বশীল অনেক মাধ্যম থেকে এই চিকেন নেক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টার এই চিকেন নেক নিয়ে দেয়া পোস্ট ও পরে তা মুছে ফেলার বিষয়ও তুলে ধরা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
তবে পর্যবেক্ষদের ধারণা শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তার বিষয়ে অমিত শাহ যে জোর দিয়েছেন তা চোখে পড়ার মতো। নেপাল ও ভুটানের সাথেও সামনের সারিতে দায়িত্ব পালন করে এসএসবি। তাদের ভূমিকার প্রশংসা করে অমিত শাহ বলেন, সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করে প্রহরা দেয়া ভিন্ন । কিন্তু এসএসবি পাহারা দেয় যেসব সীমান্তে বেড়া নেই, সেখানে। এর সদস্যরা এখন পর্যন্ত মানবপাচার, মাদক পাচার, আগ্নেয়াস্ত্র ও নকল মুদ্রা পাচার থামাতে পেরেছেন। ওইসব সীমান্ত দিয়ে দেশে ভারত বিরোধীদের বিভিন্ন প্রচেষ্টা তারা থামাতে পেরেছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেছেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে দেশ ছাড়ার পর পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল এবং উত্তরপূর্ব ভারতে সতর্ক করা হয়েছে সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের এজেন্সিগুলোকে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ইন্দো-বাংলা সীমান্ত দিয়ে কোনো অশুভ উদ্যোগ প্রতিরোধ করতে শিলিগুড়ি করিডোরে নজরদারি বাড়িয়েছে নিরাপত্তাবিষয়ক এজেন্সিগুলো। এ ছাড়া বিএসএফকে সীমান্ত রক্ষায় বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা