২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পুঁজিবাজারে বিক্রির চেয়ে কেনার চাপ দ্বিগুণ

-

- ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ছয় হাজার ৭০৯ কোটি টাকা
- ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন নিম্নমুখী

বড় পতন ও উত্থান থাকলেও পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে ক্রেতা ও বিক্রেতা বেশ সরব ছিল। তবে গড়ে শেয়ার বিক্রির চেয়ে শেয়ারে বিনিয়োগের চাপ ছিল দ্বিগুণ। ৩১ শতাংশ বিক্রেতার বিপরীতে ক্রেতার চাপ ছিল ৬৯ শতাংশ। শেষের দিকে এসে বাজারে সূচকে পযেন্ট ফিরেছে। দর পতন ও দর বৃদ্ধির কোম্পানির হার প্রায় সমান সমান ছিল। তবে সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন এক দশমিক ০৩ শতাংশ বা ছয় হাজার ৭০৯ কোটি টাকা বেড়েছে।
ডিএসইর লেনদেনের সাপ্তাহিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেশির ভাগ সেক্টরই ইতিবাচক ছিল। তবে টাকায় লেনদেন ও শেয়ার বেচাকেনায় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটগুলো নিম্নমুখী ছিল। ডিএসইতে দর বৃদ্ধির হার ৪১.৬৬ শতাংশের এবং দর পতনের হার ৪০.৪৭ শতাংশের। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৪১৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭২টির বা ৪১.৬৬ শতাংশের, দর পতনের শিকার ১৬৮টির বা ৪০.৪৭ শতাংশ, দর অপরিবর্তিত ছিল ৫৭টির এবং ১৬টি লেনদেনে অংশ নেয়নি। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহ শেষে ১১৬.১৪ পয়েন্ট ফিরে পাওয়ায় সূচক এখন পাঁচ হাজার ২২১.৫৭ পয়েন্টে, ডিএসই-৩০ সূচক ৫৬.৪ পয়েন্ট পেয়ে এক হাজার ৯৩৮.৩০ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ২৭.৩১ পয়েন্ট পেয়ে এক হাজার ১৬৭.৩৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। তবে ডিএসএমই সূচক ৩৪.৮১ পয়েন্ট হারিয়ে এখন এক হাজার ০৭৬.০৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে। টাকায় গড় লেনদেন গত সপ্তাহে ১৫.৭৯ শতাংশ বা ৫০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেড়েছে। আগের সপ্তাহে দ্বিগুণ পরিমাণে কমেছিল। সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে ৩৭৩ কোটি সাত লাখ ৪০ হাজার টাকার লেনদেন হয়। যেখানে আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৩২২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার। আর পুরো সপ্তাহে গড়ে ১২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজারটি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বেচাকেনার জায়গায় আগের সপ্তাহে হয়েছিল ১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজারটি। ফলে কমেছে ৫.৯০ শতাংশ।

ডিএসইতে সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে মোট লেনদেন কমেছে শত কোটি টাকার বেশি। গেল সপ্তাহে ১১৮ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার টাকা লেনদেন কম হয়েছে। গেল সপ্তাহে এক হাজার ৪৯২ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়। যেখানে সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬১০ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার টাকার। আর মোট শেয়ার বেচাকেনা কমেছে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজারটি। আগের সপ্তাহে যেখানে ৬৪ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজারটি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বেচাকেনা হয়েছিল, সেখানে বিদায়ী সপ্তাহে হয়েছে ৪৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজারটি। ব্লক মার্কেটে লেনদেন কমে ৬৫ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকার এবং এসএমইতে কমে ২৯ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়েছে। ডিএসইর বাজার মূলধন ছয় হাজার ৭০৯ কোটি টাকা বেড়ে এখন ছয় লাখ ৫৯ হাজার ২০৫ কোটি ৫১ লাখ টাকায় অবস্থান করছে।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ : সপ্তাহটিতে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৪.২৩ শতাংশ বলে ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে। বিদায়ী সপ্তাহে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১১.২৬ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১৬.৬৭ শতাংশ, বিকন ফার্মার ১৫.৫৮ শতাংশ, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১৫.৫৭ শতাংশ, একমি ল্যাবরেটরিজের ১১.৬৭ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১১.৩৯ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ১১.১৮ শতাংশ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ১০.৬৬ শতাংশ এবং ফাইন ফুডসের ১০.৬৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।

সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ : ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫.৯০ শতাংশ। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.০৭ শতাংশ। আর একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৭ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৭২ শতাংশ।

এ ছাড়া প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১৩ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, রবি আজিয়াটার ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ফাইন ফুডসের আট কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, গ্রামীণফোনের সাত কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ছয় লাখ ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ছয় কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সাইহাম কটনের পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সাপ্তাহিক দর পতনে শীর্ষ ১০ : এ দিকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১.৯৪ শতাংশ কমেছে। সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে এইচ আর টেক্সটাইলের ১০.৯৫ শতাংশ, নিউলাইন ক্লোথিংসের ৮.৭৫ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৮.২৩ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৬.৯৭ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৬.৯৪ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ৬.৪০ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৬.২৩ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডস্বরের ৫.৮২ শতাংশ এবং আমরা টেকনোলজিসের ৫.৮২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ইউনূসসহ ২০ জন উপদেষ্টার উপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবর ভুয়া এটিজেএফবি’র সভাপতি তানজিম, সাধারণ সম্পাদক বাতেন নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখতে চায় বিএনপি আল আজহার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান প্রফেসর ইউনূসের উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা বাংলাদেশ দ্রুত নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা দুর্নীতি করব না কাউকে করতেও দেবো না : ডা: শফিক পূর্বাচলে প্রাইভেট কারের চাপায় বুয়েট ছাত্রের মৃত্যু তিনটি কর্মসূচিতে ১১৬ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক ভারত!

সকল