কৃত্রিম দ্বীপে বিমানবন্দর বানাচ্ছে চীন
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫
আঞ্চলিক পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে উত্তর-পূর্বের শহরের অবস্থানকে মজবুত করতে বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম-দ্বীপ বিমানবন্দর তৈরি করছে চীন। লিয়াওনিং প্রাদেশিক সরকারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দালিয়ান জিনঝোয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কৃত্রিম দ্বীপের বুকে তৈরি হবে। হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়ে ১২.৪৮ বর্গকিলোমিটার এবং জাপানের ওসাকা বিমানবন্দরের চেয়ে ১০.৫ বর্গকিলোমিটার বড় হতে চলেছে কৃত্রিম দ্বীপের উপর তৈরি ওই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। উল্লেখ্য, হংকং এবং ওসাকা উভয় বিমানবন্দরই কৃত্রিম দ্বীপে তৈরি।
এভিয়েশন কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা লি হ্যানমিংয়ের কথায়, ‘বন্দরনগরী দালিয়ানের জনগণের জন্য এই বিমানবন্দর একটা বড় উপহার হতে চলেছে।’ উল্লেখ্য, দালিয়ান জিনঝুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি এখনো তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কেন কৃত্রিম দ্বীপে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরি করছে চীন? অবস্থানগত কারণ চীনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পূর্বের শহর দালিয়ান। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া- এই দুই দেশের সাথে চীন ব্যবসা করে মূলত এই বন্দর শহরের মাধ্যমেই।
দালিয়ানের জনসংখ্যা ৬০ লাখের বেশি। বোহাই স্ট্রেটের উত্তর প্রান্তে উপদ্বীপে অবস্থিত শহরটি তেল শোধনাগার, বন্দর, ব্যবসা এবং উপকূলীয় পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে অনেক দিন ধরেই। আর তাই প্রতিবেশীদের সাথে ব্যবসা মজবুত করতে এবং আঞ্চলিক পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে ডালিয়ানকে প্রাধান্য দিতে, সেই শহরের কাছেই ওই কৃত্রিম দ্বীপ-বিমানবন্দর তৈরি করতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কৃত্রিম দ্বীপে তৈরি হওয়া দালিয়ান জিনঝুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চারটি রানওয়ে এবং একটি ৯ লাখ বর্গমিটারের টার্মিনাল থাকবে। ওয়েবসাইটে এ-ও বলা হয়েছে, উন্নত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিমানবন্দরটি আঞ্চলিক বিমান পরিবহন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই বিমানবন্দর দিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রতি বছর চার কোটি ৩০ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। পরবর্তীকালে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে বছরে আট কোটি।‘এয়ারপোর্টস কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল’-এর চায়নার প্রতিনিধিদের দাবি, প্রতি বছর ১০ লাখ টন মাল ওই বিমানবন্দর দিয়ে রফতানি হবে। দালিয়ান জিনঝুয়াং বিমানবন্দর তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৪৩০ কোটি ডলার। ২০৩৫ সালের মধ্যে বিমানবন্দরটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলেও মনে করছেন কর্মকর্তারা। আগস্ট মাস থেকেই বিমানবন্দর তৈরি করতে ৭৭ হাজার বর্গমিটার জমি পুনরুদ্ধার করার কাজ শুরু হয়েছিল। টার্মিনাল ভবনের ভিত্তি স্থাপনের পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে বলে খবর। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা