১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাংলাদেশ-পূর্ব তিমুরের সম্ভাবনাময় খাতকে কাজে লাগানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন এবং পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোরতা বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তবর্গের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন : পিআইডি -

রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগিয়ে দু’দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।
গতকাল সোমবার বঙ্গভবনে সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা রাষ্ট্রপতির সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক দক্ষ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ স্নাতক ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি রয়েছেন এই দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগাতে পারে পূর্বতিমুর।’
বাংলাদেশ ও পূর্বতিমুরের উন্নয়নের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোকে কাজে লাগাতে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিকেলে বঙ্গভবনে পৌঁছুলে পূর্বতিমুরের প্রেসিডেন্টকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো: জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষার জন্য সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে দু’দেশের একসাথে কাজ করার ওপর জোর দেন।
পূর্বতিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তাকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, পূর্বতিমুরের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই বাংলাদেশে প্রথম সফর।
রাষ্ট্রপতি দু’দেশের মধ্যে খাদ্যনিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, চিকিৎসা, অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আশা করেন যে, তার এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পূর্বতিমুরের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দেশের জনগণের মধ্য যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর পূর্বতিমুরকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম সারির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশে পূর্বতিমুরের অনারারি কনস্যুলেট চালু করার উদ্যোগকেও স্বাগত জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন এর ফলে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বহুপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বেগবান হবে।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। পরে, পূর্বতিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারবর্গকে দেয়া এক সংবর্ধনা ও উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement