মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে টেন্ডার ড্রপিং নিয়ে সংঘর্ষ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে আউটসোর্সিংয়ের ৩১৪টি পদে নিয়োগের টেন্ডার ড্রপিং নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট সময়ে ঠিকাদাররা টেন্ডার জমা দিতে গেলেও তাদেরটা জমা না নিয়ে গোপনে আগেই নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র জমা নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সকাল থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এক পক্ষের টেন্ডার জমা নেয়ায় বাকি ঠিকাদাররা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এ দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টেন্ডার বঞ্চিত ঠিকাদররা। ঠিকাদারদের পক্ষে গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এস খান স্বপন বলেন, অধিদফতরের পক্ষ থেকে তাদের সময় দেয়া হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা। তারা যথাসময়ে উপস্থিত হলে তাদের ওপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। তাদের টেন্ডার জমা দিতে দেয়া হয়নি। আগে থেকেই তারা একটি পক্ষকে কাজ দিতে এ কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ করলেও তিনি অজ্ঞাত কারণে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি বলেছেন নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে এখন কিভাবে নেবেন।
স্বপন বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় একটি সুরক্ষিত স্থানে মাল্টি ড্রপিং বক্স রাখার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। বরং এমন স্থানে রাখা হয়েছে যেখানে সন্ত্রাসীরা অবাধে সেখানে প্রবেশ করে তাদের বাধা দিয়েছে। এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশ পরে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তিনি বলেন, মিশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক আনিছুর রহমান তার দলবল নিয়ে ঠিকাদারদের টেন্ডার ড্রপিংয়ে বাধা দেয়। ঠিকাদারদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই আনিছ আওয়ামী লীগ সরকারের লোক হলেও এখন ভোল পাল্টে আবারো সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে। কিছুদিন আগেও মানুষকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল আনিছুর।
স্বপন জানান, তাকে ফোনেও আনিছ নানভাবে হুমকি দিয়ে বলছে একমাত্র তার প্রতিষ্ঠান মিশনই সব কাজ পাবে। তিনি এই টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান ও টেন্ডার জমা দিতে বাধা দিতে আসা সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।