নিত্যপণ্যে কর হ্রাসের প্রভাব নেই বাজারে
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিতে কর কমানোর পরও বাজারে স্বস্তি না আসায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাজারে চাঁদাবাজির সমঝোতার সংস্কৃতি চালু থাকায় নিত্যপণ্যের মূল্য কমানো কঠিন। এই চাঁদাবাজদের মধ্যে আগের সরকারের লোক, ভবিষ্যৎ যারা সরকারে আসবেন বলে মনে করে তাদের লোকও রয়েছে। আরো রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগী।
গতকাল রাজধানীর গুলশান কাবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ এ তিনি এ উদ্বগের কথা জানান।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বাংলাদেশে ইউএসএইডের মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান উপস্থিত ছিলেন।
দেবপ্রিয় বলেন, যদি মানুষকে অর্থনৈতিক স্বস্তি দেয়া না যায় এবং আইনশৃঙ্খলা দিয়ে সুরা দিতে না পারি, তাহলে সংস্কারের জন্য মানুষের যতই ভালোবাসা থাকুক না কেন, ধৈর্য থাকবে না।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে সব ধরনের কর কমানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কমে না। আই অ্যাম ডিপলি ওরিড আবাউট দ্যাট। ট্যাক্স কমানো হয়েছে। চিনির দাম বোধ হয় কিছুটা কমেছে মাঝখানে। আমি তো আর কিছু করতে পারব না। পণ্যের দাম ও বাজার নিয়ন্ত্রণ অনেক কঠিন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা খুব কঠিন। কিন্তু চাঁদাবাজির সমঝোতা খুবই সহজ। যেকোনো বাজারে যান। দুই-তিন রকম চাঁদাবাজ আছে, যারা আগের সরকারের। আবার যারা প্রোসপেক্টিভ, আসবে আর লোকাল। আমি কাওরানবাজারে গেছি। তিন ভাগে ভাগ করা। সেখানে সমঝোতা আছে। আমাকে বলা হয়, সিন্ডিকেট ভাঙো। পণ্যের দাম কমানো ও ক্রেতার কাছে পণ্য সহজলভ্য করা। মাঝখানে যে দামটা থাকে, ১০ টাকার বেগুন ৫০ টাকা হয়ে যায়। কোনো কারণ ছাড়াই এটা বেড়ে যায়।
মধ্যস্বত্বভোগীরা তাদের কাজ করবে। কিন্তু যে মধ্যস্বত্বভোগী ট্রাক ছুঁয়ে বলে আমাকে ৫০০ টাকা দাও, সে মধ্যস্বত্বভোগী না। সে একজন চাঁদাবাজ, যোগ করেন তিনি।
আসন্ন বাজেট নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে অর্থ উপদেষ্টা জানান। তবে বাজেটে খুব বেশি নাটকীয় কিছু করা হবে না। কর ছাড় কমাতে কিছু পদপে নেয়া হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রণোদনার দিন শেষ। এটা ভবিষ্যতে করা সম্ভব হবে না। কর অব্যাহতি কমানো নিয়ে আমি আগে বলেছি। সারা জীবন কী কর রেয়াত দিতেই থাকব? এটা সম্ভব না। যুক্তিসঙ্গত কর দিতে হবে।