১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফুটপাথে গরম কাপড়ের জমজমাট ব্যবসা

-

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। শুধু উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেই নয়, ইট-পাথর ভেদ করে রাজধানী ঢাকাতেও বইছে হিম বাতাস। এ কারণে রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে নামিদামি শপিংমলগুলোতে চলছে গরম কাপড়ের জমজমাট ব্যবসা। বরাবরের মতো এবারো শপিংমলের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোকেই বেশি পছন্দ করছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে মধ্য থেকে নিম্ন আয়ের মানুষরা ছুটছেন ফুটপাতের দোকানে। দাম কম না হলেও প্রয়োজনের তাগিদে কিনতে হচ্ছে গরম পোশাক। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের শীতের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
গত দু’দিন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা গুলিস্তান, মিরপুর, নিউমার্কেট ও মতিঝিলের কয়েকটি স্থানে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরম কাপড়ের দাম বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে সবেমাত্র কেনাবেচা শুরু হয়েছে। সামনে দাম কমতে পারে।
মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে শুরু করে ২ নম্বরের মিরপুর শপিংমল পর্যন্ত পুরো রাস্তার ফুটপাথজুড়ে বসেছে গরম কাপড়ের দোকান। এরপর থানা পার হয়ে চলে গেছে মিরপুর-১ নম্বর শাহআলী মাজার পর্যন্ত। এখানে রয়েছে ছোটদের হাত-পায়ের মোজা থেকে শুরু করে হরেকরকম টুপি, মাপলার, পাজামা, ট্রাউজার, জ্যাকেট। রয়েছে ফুলহাতা গেঞ্জি, সোয়েটার, জ্যাকেট, চাদর। এ ছাড়া নারীদের জন্যও রয়েছে হরেকরকম পোশাক। ফুটপাথে পুরুষদের জ্যাকেট ৫০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ২০০-৮০০ টাকার মধ্যে। বাচ্চাদের পোশাকেও রয়েছে বিভিন্ন দাম। তবে ৬০ টাকার নিচে কোনো পোশাক পাওয়া যায়নি ফুটপাথে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যার পরে মিরপুর এলাকার ফুটপাথে গিয়ে পা ফেলার যায়গা পাওয়া যায়নি। নানা বয়সী শত শত মানুষ ভিড় করেছেন শীতের কাপড়ের দোকানে। মাহমুদ হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, গরিব ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য ফুটপাথই ভরসা। তবে সেই ফুটপাথের পণ্যেও এখন আগুন লেগেছে। অনেক দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে পোশাক। আগে যেটা ১০০-১২০ টাকায় কেনা যেত, এখন সেটা ২০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। একটু ভালো মানের দিকে গেলে সেটা হয়ে যাচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা। আবার কিছু দোকানে পুরুষদের ভালো মানের জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা করেও।
আয়েশা আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, ভালো ভালো পণ্য ফুটপাথেই পাওয়া যাচ্ছে। তাই শপিংমলে না গিয়ে ফুটপাথের দোকানগুলোই বেশি পছন্দ করছে মানুষ। তাছাড়া খরচের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হয়। এমনতিই প্রতি বছরই শীতের পোশাকের দাম বেড়েই চলেছে। প্রথমবারের মতো বাচ্চাদের জন্য পোশাক কিনতে এসেছি। এরপর যদি প্রয়োজন হয় আমাদের জন্য কিনব, না হলে পুরোনোগুলো দিয়েই চালিয়ে দিব।
আলী হায়দার নামে এক বিক্রেতা বলেন, এ বছরের গত ৩-৪ দিন হলো বিক্রি বেড়েছে। প্রথম দিকে বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। দামের ব্যপারে তিনি বলেন, প্রতি বছরই পোশাকের দাম কিছু বাড়তি থাকে। এ বছরও প্রথম শুরু করেছি। বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে তাই কিছুটা দাম বেশি। তবে সামনে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র খেয়ালখুশিমতো খরচ হয়েছে জলবায়ু তহবিলের অর্থ গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন : র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ আরাকানে সাড়ে ৪ শ’সেনা নিহত, জান্তার নিয়ন্ত্রণ শেষ বিপাকে রোহিঙ্গারা ভারতসহ সাত ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয়রা স্বাধীনতা উদযাপনের সময় দামেস্কে ইসরাইলের হামলা আগামীতে সবাইকে নিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে বেক্সিমকোর জন্য ১৮০ কোটি টাকা ছাড় করছে জনতা ব্যাংক বেকারত্বহীন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে জামায়াত : ডা: শফিক বিজয় ঘোষণার অপেক্ষা ভারতকে দেয়া সুইজারল্যান্ডের বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার

সকল