চট্টগ্রামে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
- আরফাত বিপ্লব চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫
চট্টগ্রামে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এই ক’দিনের ঠাণ্ডার মাত্রার সাথে বেড়েছে শীতের পোশাক বিক্রিও। ফুটপাথ থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা জমে উঠেছে। পাশাপাশি বন্দরনগরীর কাপড়ের পাইকারি বাজারগুলোও বেশ জমজমাট।
চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, আমতল, শহীদ মিনার, টেরিবাজার, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি পাড়, কোতোয়ালি মোড়, জিপিওর সামনের সড়ক, চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন মোড়, চাক্তাই, রাজাখালী, আগ্রাবাদ, স্টিল মিল বাজার, বন্দরটিলা, ইপিজেড, বড়পোল, সাগরিকা, অলঙ্কার মোড়, জিইসি মোড়সহ বিপণি কেন্দ্রগুলোর সামনে হকাররা নানা রকমের শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছে। ফুটপাথে বাচ্চাদের বিভিন্ন সাইজের গরম কাপড়, বয়স্কদের সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলারসহ বিভিন্ন আইটেমের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতি বছর শীতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা ফুটপাথ থেকে গরম কাপড় সংগ্রহ করে থাকেন। এবার স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভিড় জমিয়েছে জহুর হকার্স মার্কেটের ফুটপাথে। মূলত বিকেল হতেই এ মার্কেটের ফুটপাথে ভিড় বাড়তে থাকে ক্রেতাদের। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাথের এসব দোকানে হুডি, মোটা গেঞ্জি, জ্যাকেট, সোয়েটার, মেয়েদের কার্ডিগান, শর্ট কোর্ট, বেলবেড জ্যাকেট, চাদর, কম্বল, কম্পোর্টার, ডেনিম শার্ট, বাচ্চাদের শীতের জামা, কানটুপি, মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসা হয়েছে। হকার্স মার্কেটের ফুটপাথে মেয়েদের সোয়েটার মানভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোটদের বিভিন্ন পোশাক ৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাফলার ৪০ থেকে ২০০ টাকা এবং গরম টুপি ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সাইজের কম্বল ২০০-৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। জহুর হকার্স মার্কেটের ফুটপাথের ভাসমান দোকানিরা জানান, কিছুদিন শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসলেও তেমন বিক্রি হয়নি। এখন শীতের প্রকোপ বাড়ায় গত সপ্তাহ থেকে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। ফুটপাথে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের শীতের পোশাক। এ ছাড়া জ্যাকেট, সোয়েটার ও বিভিন্ন ধরনের কম্বল কিনছেন ক্রেতারা।
ফুটপাথে মোটা গেঞ্জি ও হুডি বিক্রি করছেন আবু বকর। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে থেকেই শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে সেটা আরো বাড়বে। এখন প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা বিক্রি করি। শীত বাড়লে তখন প্রতিদিন ছয় হাজার থেকে আট হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করি। কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় চট্টগ্রামে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। ফুটপাথ থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে। পাশাপাশি বন্দরনগরীর কাপড়ের পাইকারি বাজারগুলোও দুই সপ্তাহ ধরে জমজমাট।
চকবাজারের ফুটপাথে শীতের পোশাক কিনতে আসা শামীমা বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। যা ছোট বাচ্চাদের জন্য ঝুঁকির কারণ। ভোরেও শীতের প্রকোপ থাকে। তাই বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কিনছি। তবে মান অনুযায়ী এবার দাম কিছুটা বেশি। চট্টগ্রাম রিয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সমাজসেবা সম্পাদক মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীতের কাপড়ের ব্যবসা জমে উঠেছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র রিয়াজুদ্দিন বাজার ও আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিকিকিনি। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
এ দিকে ডিসেম্বরের শেষে শীত ভালোই বাড়তে পারে বলে নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ উজ্জ্বল কান্তি পাল। তিনি বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে বেশি শীত অনুভূত হয় বাংলাদেশে। যত দিন গড়াবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমবে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে শীত বেশি অনুভূত হতে পারে এবং তা জানুয়ারিতে জেঁকে বসতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা