মহার্ঘ্যভাতা প্রণয়নে ৭ সদস্যের কমিটি
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ্যভাতা প্রণয়নে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া সদস্য করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, এ কমিটি মহার্ঘ্যভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবেন। কমিটি প্রয়োজনে এক/একাধিক কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবেন বলে অফিস আদেশে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে ৭ অক্টোবর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ২০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা ঘোষণা করেছিল সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, এ মহার্ঘ্যভাতা সেই বছর অর্থ্যাৎ, ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী নতুন জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার তারিখের পূর্বদিন পর্যন্ত মহার্ঘ্যভাতা পাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছিল, সার্ভিস অ্যাক্ট, ১৯৭৫-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার এ মহার্ঘ্যভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জাতীয় বেতন স্কেল-২০০৯ এর আওতাভুক্ত সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ২০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা পাবেন। তবে ন্যূনতম দেড় হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা মহার্ঘ্যভাতা প্রাপ্য হবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরাও একই হারে মহার্ঘ্যভাতা প্রাপ্য হবেন।
এর দুই বছর পর ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ ঘোষণা করা হয়। এতে সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ১০৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা