কিশমিশের উপকারিতা
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
শুকনো আঙুর থেকে তৈরি কিসমিস শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। কিসমিস বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এবং নানা রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এতে শর্করা, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
কিসমিসের উপকারিতা
শরীরে শক্তি জোগায়: কিসমিসি থাকা শর্করা শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। এটি আপনার শরীরের কোষকে সজীব রাখে এবং দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ব্যায়ামের পর ক্লান্তি দূর করতে কিসমিস বেশ সহায়ক।
পুষ্টির ভাণ্ডার : এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি শক্তি বাড়ায় এবং সারাদিন আমাদের প্রোডাক্টিভ রাখতে সহায়ক।
হার্ট সুস্থ রাখে: পটাসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত কিসমিস খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর : কিসমিসে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি পেটের গ্যাস, অম্বল ও হজম সমস্যা কমায়।
মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা : কিসমিসের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ওলেনোলিক অ্যাসিড মুখের ভেতরে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে। এটি দাঁতের প্লাক জমা ও মাড়ির ইনফেকশন প্রতিরোধ এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। কিসমিস খেলে মুখের বাজে গন্ধ দূর হয় এবং মুখের ভেতর সজীবতা বজায় থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : এতে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পটাসিয়াম রক্তনালীর সঙ্কোচন কমাতে সাহায্য করে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
ওজন কমাতে সাহায্য : কিসমিসে থাকা ফাইবার ও শর্করা ক্ষুধা কমায় এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সাহায্য করে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তাই স্ন্যাকস হিসেবে কিসমিস খেতে পারেন।
ত্বক ও চুলের যতœ : কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে বার্ধক্যের ছাপ আসতে দেয় না। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং চুলকে মজবুত রাখে।
রোগ প্রতিরোধে সহায়তা : কিসমিসে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায় এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং শরীরকে শিথিল ও সজীব রাখে।
হাড় মজবুত ও রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে : কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের শক্তি বাড়ায়। এটা নিয়মিত খেলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া, কিসমিসে থাকা আয়রন শরীরের হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বাড়ায়, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়ক। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা