অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা চলছে : তথ্য উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দেশের রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হবে জনগণের মধ্যে এমন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সে দল যদি সফল হয়, তবে বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো চাচ্ছে সংস্কার তাদের অধীনেই হোক, তাই তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। তারা সংস্কারের পরিবর্তে নির্বাচনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
গতকাল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্সের (জিপিজি) একটি প্রতিনিধিদল উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেন। চিলির সাবেক সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী জর্জিও জ্যাকসন সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে মূলত উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। স্কটিশ পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য লর্ড জেরিমাই পুরভিস অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ কি কি জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দায়িত্ব নিয়েছে। এটি একটি অভিনব ঘটনা যা এর আগে কখনো ঘটেনি। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এরকম হয়েছে কি না আমার জানা নেই। আমরা এরকম পরিস্থিতিতে কাজ করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া এবং বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ স্থাপন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ।
ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার মাট চার্টার কোন কোন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সাহায্য চায় জানতে চাইলে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং গণহত্যার বিচার বিষয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানকে অনেকেই ঠিকমতো ব্যাখ্যা করতে পারছে না। কিভাবে এত অল্প সময় এত বড় এক স্বৈরশাসকের পতন হলো তা মানুষ বুঝতে পারছে না। ফলে দেশের ভেতরে এবং বাইরে নানা রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়েও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই আন্দোলনটা যে গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান তা অনেকেই অস্বীকার করার চেষ্টা করছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সঙ্কট চলছে, মানুষ ভোট দিতে পারত না, কয়েক হাজার মানুষকে গুম করে ফেলা হয়েছে। একটা দম বন্ধ অবস্থার মধ্যে দেশের মানুষ ছিল। তাই মানবাধিকার রক্ষা করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এ সময় জিপিজি প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা