আইএমএফ থেকে মার্চে পাওয়া যাবে ১১০ কোটি ডলার : অর্থ উপদেষ্টা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তি ১১০ কোটি ডলার আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। আইএমএফ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন জর্জ পাপ্পারিজিও।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের ঋণ সহায়তার প্যাকেজ ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৪র্থ কিস্তির ১.১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১.১ বিলিয়ন ডলার তো ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে চলে আসবে। এর পরেরটার জন্য মার্চ মাসে রিভিউতে আসবে আইএমএফের প্রতিনিধিদল। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে। সালেহউদ্দিন জানান, ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সম্মেলনে আমরা যে কথা বলে আসছি সেখানে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা প্রত্যাশা করছি। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, ওপেকফান্ড সব মিলিয়ে ৬ বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে। কিছু দিন পর এডিবি আসবে, ওপেকফান্ডের টাকা আসবে। সব মিলিয়ে আগামী জুনের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার পাবো।
আইএমএফের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে মূলত তারা এসেছে রাজস্ব খাত, বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা, মূল্যস্ফীতি এগুলো দেখার জন্য। এসব বিষয়ে তারা আমাদের সাথে আলাপ করেছে, এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলাপ করবে। তিনি বলেন, আমাদের স্থিতিশীলতা কিন্তু ফিরে আসছে। সম্পূর্ণ আসে নাই, তবে এখন সময় বিনিয়োগের। আপনারা দেখবেন ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট আগের মতো ওঠানামা করছে না। ব্যাংকিং খাতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের লিকুইডি সাপোর্ট লাগছে। তবে ইসলামী ব্যাংকের মতো বড় ব্যাংকে স্থিতিশীলতা ফিরে আসছে। ইসলামী ব্যাংক সব বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকগুলোও আস্তে আস্তে ফিরে আসবে। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স খুবই ভালো। রফতানিও হচ্ছে ভালো, আমদানি একটু কম আছে। তবে আগের থেকে একটু বেড়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি কিছু কম আসছে, সেটা কিছু রেস্ট্রিকশেনের কারণে। সেটা আমরা চিন্তা করছি কি করা যায়।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তারা কতগুলো লক্ষ্যমাত্রা দেবে সেটা করতে পারব কি না সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু আমি আশা করি তারা বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেবে। তারা আমাদের এখানে থাকবে কিছু দিন। তাদের বলেছি আমরা এমন কিছু নেবো যেটা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হয়। যাতে আগামী সরকারে যেই আসুক তারা যেন সেটা ফলো করে।
অতিরিক্ত ফান্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত ফান্ডের বিষয়ে আমরা আবার আলোচনা করে বলব। চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলার তো প্রথম প্যাকেজের। কিন্তু সংস্কার করতে হলে তো আমাদের ফান্ড লাগবে। আমাদের অনেক কিছু সংস্কার করতে হচ্ছে যেমন ব্যাংকিং খাত, রাজস্ব খাত। এগুলো করতে আমাদের ফান্ড লাগবে। শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইএমএফের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা