২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পানি দিয়েই জ্বলে বাতি

-

প্রযুক্তির অনন্য আবিষ্কার বাতি। যুগ যুগ ধরে এই বাতির আধুনিকায়ন এবং উন্নতির পেছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস। কয়েক বছর আগেও দেখা মিলত এক ধরনের বাতি যা দেখলে মনে হবে এর পেছনে তেল-বিদ্যুতের ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আসলে এটি জ্বালানো হয় পাথরের মতো পদার্থ এবং পানি দিয়ে। এ ধরনের বাতিকে মূলত বলা হয় কার্বাইড ল্যাম্প।
এ ধরনের বাতির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত পাথরগুলো ক্যালসিয়াম কার্বাইডের টুকরো এবং ব্যবহার করা হয় বিশুদ্ধ পানি। কার্বাইড বাতি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করা হয় ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে। এই বাতিগুলো ব্যবহৃত হতো গাড়ির হেডলাইট, স্টিমার ও সাইকেলের কাজে ব্যবহার করার জন্য। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে দেখা যেত মাটির গভীরে কাজ করার জন্য। পাথর আর পানিতে চলা এ ধরনের বাতিগুলো কাজ করত সহজ কিন্তু বেশ জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কার্বাইড বাতি মূলত খুব সাধারণ একটি ডিভাইস। এর শরীরে থাকা ছোট সিলিন্ডারের দুটি আলাদা প্রকোষ্ঠ রয়েছে। এর একটিতে পানি এবং অপরটিতে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের টুকরো রাখা হয়। পানি ক্যালসিয়াম কার্বাইডের সংস্পর্শে এলে অ্যাসিটিলিন গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে বাতিটি সফলভাবে জ্বলে ওঠে। বাতিটির মাথার দিকে সিসার তৈরি অবতল প্লেটে থাকা একটি ছোট চাকা ঘুরিয়ে দিলেই অ্যাসিটিলিন গ্যাস জ্বলে ওঠে এবং আগুনের সৃষ্টি হয়। আলোচিত এই কার্বাইড বাতির ইতিহাস বেশ পুরনো। সর্বপ্রথম ১৮৯২ সালে টমাস উইলসোন চুন ও কোকের মিশ্রণে ক্যালসিয়াম কার্বাইড আবিষ্কার করেন। ইন্টারনেট।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement