২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
সর্বনিম্ন কোটা হতে পারে ২৫০

হজ নিবন্ধনে সময় বাড়ল ১৫ দিন

-

নির্ধারিত তিন মাস সময় শেষ হওয়ার পরও হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়নি। গতকাল পর্যন্ত মাত্র ৪০ হাজার জন প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। ফলে নির্ধারিত কোটা পূরণ হতে এখনো বাকি রয়েছে প্রায় ৮৭ হাজার জনের। এজন্য নিবন্ধনের সময় আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। একইসাথে প্যাকেজের পুরো টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করারও আহবান জানানো হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৫ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি হজযাত্রীরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে। আগামী বছর হজ পালনে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধন করতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাস সময় দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হচ্ছে। হজ প্যাকেজ মূল্যের বাকি টাকা প্যাকেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় দেয়া হয়। কিন্তু তিন মাস পার হলেও কাক্সিক্ষত সাড়া নেই হজযাত্রীদের। এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে তিন মাসে হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪০ হাজার জন। ফলে এখনো বাকি রয়েছে ৮৭ হাজার কোটা।
এর মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর এবারের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঘোষিত সাশ্রয়ী সাধারণ প্যাকেজ-১ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে চার লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। অন্য প্যাকেজে (প্যাকেজ-২) খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। তবে এবার পশু কোরবানির খরচের পাশাপাশি খাবার খরচের জন্য আলাদাভাবে টাকা নিতে হবে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর বেসরকারি এজেন্সির পক্ষ থেকেও পৃথক দু’টি গ্রুপ আলাদাভাবে বেসরকারি প্যাকেজ ঘোষণা করে। এরপর নিবন্ধনে কিছুটা গতি বাড়লেও তা পুরো মাত্রায় ছিল না। ফলে আবারো সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এজন্য আবারো সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে। হজযাত্রীর সর্বনি¤œ কোটা ১০০ করতে এজেন্সি মালিকদের আবেদনের বিষয়ে তিনি জানান, হজ দু’টি রাষ্ট্রের বিষয়। সৌদি সরকার আমাদের সর্বনিম্ন দুই হাজার কোটার কথা বলেছে। আমরা গত বারের মতো ২৫০ জনের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এজন্য সম্প্রতি সৌদি রাষ্ট্রদূত ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আসলে এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার সাথে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আরো সময় আছে। আলোচনার মাধ্যমে এটি ঠিক হবে বলে আশা করেন ধর্মসচিব।


আরো সংবাদ



premium cement