২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

বিদেশী ষড়যন্ত্রে লেখক-শিল্পীদের উদ্বেগ

-

গত জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শাসকের পতনের পরও বাংলাদেশে বিদেশী ষড়যন্ত্র এবং দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতি লেখক, কবি ও শিল্পীসমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন এবং সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার মতো ঘটনা দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে তারা মন্তব্য করেছেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- কবি আবদুল হাই শিকদার, কাজল শাহনেওয়াজ, আহমেদ স্বপন মাহমুদ, ফারুক ওয়াসিফ, এ কে এম রেজাউল করিম (কলামিস্ট ও সমাজসেবক), ড. খান সুবায়েল বিন রফিক (গবেষক) এবং এহসান হাবীব। তারা সবাই দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ দিকে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যায় শোক জানিয়ে এর বিচার দাবি করে তারা বলেন, হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যা দেশের জনগণকে বিভক্ত করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতবিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে নিরপরাধ কাউকে হয়রানির শিকার না করার বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দেশব্যাপী সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে লেখক-শিল্পীরা তাদের বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা চায় বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাধুক। কিন্তু আমরা এটা হতে দেবো না। দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের একমাত্র শক্তি ধৈর্য, সহনশীলতা এবং ঐক্য।’
সংহতি সপ্তাহকে জাতীয় উদ্যোগে পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখতে ‘সংহতি সপ্তাহ’ কর্মসূচিকে জাতীয় সংহতির প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা উল্লেখ করেন, ‘দেশকে শান্ত রাখাই এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভেদ দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের শান্তি রক্ষায় কাজ করতে হবে।’
বিবৃতিতে লেখক-শিল্পীরা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি এবং জাতীয় সংহতির জন্য শুভ কামনা ব্যক্ত করেন। তারা জনগণের সতর্কতা এবং একতাবদ্ধ প্রচেষ্টাই এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সক্ষম বলে ব্যক্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement