২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আলাদা হয়ে বাড়ি ফিরেছে জোড়া শিশু নূহা ও নাবা

পৃথক হয়ে সুস্থতার সাথে নূহা ও নাবাকে বিদায় জানায় বিএসএমএমইউ’র প্রশাসন : নয়া দিগন্ত -


আলাদা হয়ে বাড়ি ফিরেছে জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম নেয়া যমজ শিশু নূহা ও নাবা। পুরোপুরি আলাদা হওয়ার আগে ৫টি অস্ত্রোপচার করা হয় শিশুর দুটির দেহে। গতকাল সুস্থতার সাথেই তাদের বাড়ি পাঠানো হয়। গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যমজ জোড়া দেহের শিশু নূহা ও নাবাকে রিলিজ দেন। কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার শিবরাম কাঁঠালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাসরিন আক্তার ও আলমগীর হোসেন দম্পত্তির সন্তান নূহা ও নাবার শরীরের পেছন ও নিচের দিক থেকে যুক্ত ছিল। কনজয়েন্ট টুইন পিগোপেগাস নূহা ও নাবাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করতে পারায় বিএসএমএমইউ’র প্রশাসন চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা:০ মো: শাহিনুল আলম, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: মো: আবুল কালাম আজাদ, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা: মো: মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা: মো: নজরুল ইসলাম, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা: মো: রেজাউর রহমান, শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা: এ কে এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

শিশু নূহা ও নাবার জন্ম ২০২২ সালের ২১ মার্চ। বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪ এপ্রিল। তারপর থেকে তারা এখানেই বেড়ে উঠেছে। নূহা ও নাবার চিকিৎসায় নিউরোসার্জারি বিভাগ, শিশু সার্জারি বিভাগ এ্যানেসথেশিওলজির বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল টিম দীর্ঘ এই অস্ত্রোপচারটি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করেছে। অবশেষে ২ বছর ৭ মাস ২০ দিন পর সুস্থ হয়ে মা-বাবার সাথে বাড়ি ফিরেছে। বিএসএমএমইউ’র কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ৩ জোড়া শিশুকে সফলতার সাথে আলাদা করেছে এবং জোড়া লাগানো আরো দুই শিশুকে আলাদার প্রস্তুতি চলছে। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয় নূহা ও নাবাকে। তবে মলদ্বারের একটি অস্ত্রোপচারের জন্য কয়েক মাস পর আবার শিশু দুটোকে হাসপাতালে আসতে হবে। ২০২২ সালের ২১ মার্চ মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্ম নেয়া ওই দুটো শিশুকে ঢাকায় আনা হয় সে বছরের ৪ এপ্রিল। তখন থেকে ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা হাসপাতালে শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ছিল। ৪ ডিসেম্বর তাদের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। সে হিসেবে শিশু দুটি আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে আছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নূহা ও নাবার চিকিৎসা বাবদ ৫০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেবিন ভাড়া, হাসপাতাল ফার্মেসির মাধ্যমে ওষুধ কেনা, নিউরোসার্জারি ও অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং ওটি চার্জ। এই ব্যয়ের মধ্যে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা বহন করেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৪ লাখ টাকা পাওয়া গেছে অনুদান হিসেবে। অনুদানকারী তাঁর নাম প্রকাশ করতে চান না। এই অনুদান পেতে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছেন সাংবাদিক তাওসিয়া তাজমিম ও দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক চৌধুরী খালেদ মাসুদ। অর্থাৎ নূহা ও নাবার চিকিৎসায় তার পিতা-মাতার কোনো ব্যয় করতে হয়নি। নূহা ও নাবাকে বাড়ি পাঠানো হলেও চিকিৎসার জন্য ফলোআপে থাকতে হবে এবং ভবিষ্যতে আরো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল