২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
চুয়াডাঙ্গায় মির্জা ফখরুল

দেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিব

-

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন এই শেখ মুজিব। চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্যে এ কথা বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে টাউন ফুটবল ময়দানে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব। এ সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের পরিচালনায় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ১৯৯৯ ও ২০১০ সালে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল সকাল ৯টা থেকেই ডেলিগেট, কাউন্সিলর ও আমন্ত্রিত অতিথিরা আসতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে সম্মেলনস্থল টাউন ফুটবল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা মঞ্চে আসন গ্রহণের পর জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) পক্ষ থেকে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ।

বিএনপি মহাসচিব সমাবেশে বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই গণতান্ত্রিক দল ছিল না। তারা ফ্যাসিবাদী দল। তাদের বডি কেমেস্ট্রিতে গণতন্ত্র নেই। পুরোটাই তারা ফ্যাসিবাদী। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়ে ফ্যাসিবাদের জন্ম দেন শেখ মুজিব। তাই এই দেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরো বলেন, চায়ের দোকানে বা রেস্টুরেন্টে দেখবেন টেবিল চাপড়ে যে সবচেয়ে জোর করে কথা বলছেন, কাউকে কথা বলতে দিচ্ছেন না, তিনিই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এমনই।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে কোথাও কুপিয়ে, কোথাও গুলি করে হত্যা করে গুম করেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া পুলিশকে ব্যবহার করেও হত্যা করা হয়েছে। গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সম্ভব নয়। তাই জনরোষে পালিয়ে গেছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। এখন এসব থেকে আল্লাহর রহমতে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।
বিভিন্ন সময় আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত দলের নেতাকর্মীদের স্মরণে মঞ্চে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতা, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মৃত সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। পরে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আবদুল জব্বার।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ জাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা, জাসাস চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবীব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তবারক আলী।

 


আরো সংবাদ



premium cement