২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘দেয়াল শিল্প খুবই শক্তিশালী মাধ্যম’

-

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেয়াল শিল্প খুবই শক্তিশালী মাধ্যম। সারা দেশের ছাত্র এবং তরুণদের দ্বারা নির্মিত দেয়াল শিল্পের একটি অনুপ্রেরণামূলক সংগ্রহ প্রদর্শন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ নিয়ে তাদের আশা ও আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। অন্য দিকে বিশ^ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য কেঁদেছে। জুলাই-আগস্টের ঘটনায় বাংলাদেশের দেয়ালগুলো ন্যায়ের জন্য কাঁদছে।
গতকাল শনিবার ঢাকার পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে ‘পেইন্ট দ্য স্কাই, মেক ইট ইওরস : তারুণ্যের চোখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। দৃক গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে বিশ্বব্যাংক।
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে সারা দেশের ছাত্র ও তরুণদের আঁকা প্রাণবন্ত দেয়াল শিল্প দেখানো হয়েছে, যা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে তুলে ধরেছে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ ১২টি জেলা থেকে এসব শিল্পকর্মগুলো এসেছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেয়াল শিল্প খুবই শক্তিশালী মাধ্যম, যা মনে বিশ্বাসের জন্ম দেয়, আশা জাগায়। বড়রাও এত বড় কল্পনা করতে পারবে না। বড় কবিতাতেও বলা যাবে না। আমাদের তরুণরা দেয়াল শিল্পের মাধ্যমে তা করে দেখিয়েছে। যা আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়, যা একটি সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাবে।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, দেশের জন্য নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে বাংলাদেশী ছাত্র-তরুণরা তাদের সৃজনশীলতাকে শিল্পের মাধ্যমে ব্যবহার করেছে। এ প্রদর্শনী ভবিষ্যতের জন্য তাদের উদ্বেগ এবং অগ্রাধিকারগুলো প্রদর্শন করে এবং তাদের কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য কেঁদেছে। জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের দেয়ালগুলো ন্যায়ের জন্য কাঁদছে। এ সময় আমরা দেয়াল লেখনির ও ছবির শক্তি দেখতে পেরেছি। যারা এ কাজটি করেছে তাদের সম্মান জানাই। দেয়াল লেখনির শক্তি ফলশ্রুতিতে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ দেখতে পাচ্ছি। যেমন ছিল আফ্রিকা ও মেক্সিকোতে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ইউনিক কাজ করেছে। এ প্রদর্শনীতে প্রকাশ পেয়েছে নতুন বাংলাদেশের, নতুন স্বপ্নের। যা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। তাদের দেয়ালচিত্র আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে। এ ছবির ভিশন নতুন বাংলাদেশ, যার সীমানা আকাশে। যা আশা জাগায়, সচেতন করে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগী ছিল বিশ্বব্যাংক। ৫০ বছরের অংশীদারত্বে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ এবং দেশটিকে তার উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলো মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে। বর্তমানে ৫২টি চলমান প্রকল্পের প্রায় ১৬ বিলিয়ন অর্থায়নসহ বাংলাদেশে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় আইডিএ প্রোগ্রাম রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement