২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নগ্ন ভিডিওর ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো তৃতীয় লিঙ্গের জাহাঙ্গীর চক্র

তৃতীয় লীঙ্গের জাহাঙ্গীর -

ফেসবুকে পরিচয় সুন্দরী তরুণী এলিনার সাথে। পরিচয় থেকে ভালোলাগা এবং সব শেষ ভালোবাসা। সরাসরি দেখা না হলেও মাসের পর মাস চলতে থাকে দু’জনের কথোপকথন। কখনো মোবাইলে, আবার কখনো মেসেঞ্জার হোওয়াটস অ্যাপে। শুধু কথাই শেষ নয় এলিনার মায়া জাদুতে একের পর এক পাঠাতে থাকেন গিফট, মোবাইল রিসার্চ, বিকাশে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা।
এক সময় এলিনাকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তার সাথে দেখা করতে গিয়ে ঘটে মহাবিপত্তি। সেখানে গিয়ে দেখা যায় এলিনা কোনো মেয়ে নয়। তার প্রকৃত নাম জাকির হোসেন। তিনি একজন তৃতীয় লিংকের মানুষ। তার কাছ থেকে কৌশলে ফিরে আসতে চাইলে পড়ে যান মহাবিপদে। এলিনা অর্থাৎ জাহাঙ্গীরের সাথে থাকা চক্রের সদস্য আকরাম, জুয়েলসহ অন্যরা আটকে ফেলেন ভুক্তভোগীকে। নগ্ন করে ভিডি ধারণ করা হয় তার। এরপর সব কিছু কেড়ে রেখে ছেড়ে দেয়া হলেও ভিডিওর ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতে থাকে লাখ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন, ধাপে ধাপে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রের সদস্যরা। নগ্ন ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নিজের সম্মান থাকবে না বলে তাদের চাহিদামতো টাকা দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি কিছুদিন টাকা না দেয়ায় তার অফিসে গিয়ে হানা দেয় তারা। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাদের কারণে যদি চাকরিটাও চলে যায় তাহলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। তাই লজ্জা ফেলে বিচারের আশা করছেন।

ভুক্তভোগী বলেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে এলিনার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গী থানার মুন্নুনগর আরিচপুর রোড, মিরাশপাড়া শামসুদ্দিন মাতবর মার্কেটে। ২০১৮ সাল থেকে চলতে থাকে এই অত্যাচার। এর মধ্যে ভুক্তভোগী মনির বিয়ে করে সংসার করছেন। কিন্তু তবুও পিছু ছাড়ছে না এই চক্র। সম্প্রতি তাদের টাকা দেয়া বন্ধ করে দেন মনির। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তার বংশালের অফিসে হানা দেয় ওই চক্রের সদস্যরা। তাদের প্রধান হয়ে কাজ করছে এলিনা ওরফে জাহাঙ্গীরের চাচা মো: আকরাম।
এ ব্যাপারে জানতে আকরামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। তবে অপর সদস্য জুয়েল জানায়, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না। আমি জাহাঙ্গীরদের দোকান ভাড়া নিয়ে বিকাশের ব্যবসা করি। তবে মনির আমার বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতেন। আমি সেগুলো ক্যাশ করে ওদের দিতাম। মনিরের অফিসে হানা দেয়া সোহেল নামে একজন জানায়, সে এসবের কিছু জানে না। তার পূর্ব পরিচিত আকরাম তাকে ওই অফিসে নিয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement