ডিম আমদানি বন্ধ ও সিন্ডিকেট ভাঙার আহ্বান
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন দেশব্যাপী ডিম ও মুরগির বাজারে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ এবং প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় সরকারের কাছে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি মো: সুমন হাওলাদার বলেন, সরকারের উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি ফিড উৎপাদন করে প্রান্তিক খামারিদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চালু হলেই করপোরেট সিন্ডিকেট ভাঙবে। প্রান্তিক খামারিরা ন্যায্যমূল্যে ফিড, মুরগির বাচ্চা কিনতে পারবে। এতে ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ কমবে এবং ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে তা কিনতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন বাড়াতে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বড় করপোরেট কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্যের অবসান ঘটানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ উদ্যোগ সফল হলে স্থানীয় খামারিরা উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে দেশের ডিম ও মুরগির সঙ্কট দূর করতে সক্ষম হবেন। ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারে বড় করপোরেট কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে প্রান্তিক খামারিদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এসব কোম্পানির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছে এবং দাম বাড়ছে। করোনার আগে দেশের প্রান্তিক খামারিরা ডিম ও মুরগির উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা পালন করত। স্থানীয় পর্যায়ে ছোট খামারিদের পণ্য সরবরাহের কারণে বাজারে প্রতিযোগিতা ছিল এবং দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু করপোরেট কোম্পানির আধিপত্য বাড়ায় বর্তমানে এই প্রতিযোগিতা অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। করপোরেট সিন্ডিকেটের আধিপত্যের কারণে প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সঠিক দামে বিক্রি করতে পারছে না। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দিন দিন ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ডিম আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই, দেশে ডিম ও মুরগির সঙ্কট নেই, বরং সিন্ডিকেটের কারণে বাজার অস্থিতিশীল। ডিম আমদানি না করে প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা দিলে দেশেই ডিমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এতে আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা