আনোয়ার চৌধুরী নাসির খানসহ আ’লীগের ৩৬৫ জন আসামি

সিলেটে বিস্ফোরক আইনে আরো দু’টি মামলায় সিসিকের বরখাস্ত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও বরখাস্ত সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন খানসহ ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এসএমপির কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া এ দু’টি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে। মামলা দু’টিতে নাসির উদ্দিন খান, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৩ ও ১৬ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় এ দু’টি মামলা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন ওসি জিয়াউল হক। একটি মামলার বাদি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে মাছুম আহমদ (২৬)। অপরটির বাদি সিলেট নগরের শিবগঞ্জ সোনারপাড়ার বাসিন্দা আছমান মিয়ার ছেলে মো: জাহেদ আহমদ (৪২)।

গত শনিবার জাহেদ আহমদ বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় (নং ৩১(১১)২০২৪) আনোয়ারুজ্জামান ছাড়াও ১০৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম (৩৫), সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ (৩০), মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান (৫০), সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু (৪০), গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হক (৪৮), জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন (৫৫)।
মামলার এজাহারের বর্ণনামতে, ৪ আগস্ট বেলা আড়াইটার দিকে বাদি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচিতে ছাত্রদের সাথে একত্মতা পোষণ করে জিন্দাবাজার থেকে কোর্ট পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা হলে আসামিরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান, রামদা, ককটেলসহ মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হামলা চালায়। এতে বাদি গুলিবিদ্ধ ও মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অপর দিকে গতকাল মাছুম আহমদ বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় (নং ২১(১১)২০২৪) ৪৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
এ মামলায় এজাহারনামীয় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী (৫২), সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান (৫৫) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (৫৫), বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব (৪৭), ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ (৪৫), উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব (৫৫)।
বাদির অভিযোগ, তিনি গত ১৯ জুলাই বিকেলে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার আগামী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মিছিলকে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এতে তার নাকে ও বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে।