সরবরাহ বাড়িয়ে দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫
সরকার মাঠপর্যায়ে তদারকিসহ পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কাওরান বাজারে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আলু বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাজারে মূল্যস্ফীতি মূলত সরবরাহকেন্দ্রিক। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে সরবরাহ সহজীকরণ করার জন্য আমদানি শুল্ক বিভিন্ন পণ্য তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে। আর তাতে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি মেনে নিয়ে দামে একটা স্থিতিশীলতা আনার জন্য আমরা কাজ করছি। আলুর দাম প্রকৃতপক্ষে একটি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমরা সবাই মিলে একযোগে উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের পদক্ষেপের কারণে কিছু কিছু পণ্যে স্বস্তি আসা শুরু হয়েছে।
সরকার জনগণের কষ্টের বিষয়ে অবগত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চাল আদমানি শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তেল নিয়ে ব্যাপক কাজ করছি। রমজানকে সামনে রেখে সব পক্ষ সমন্বিত কাজ করছি।
ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি স্থানে ট্রাক সেলের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। জনপ্রতি তিন কেজি করে আলু কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি আলুর দাম পড়বে ৪০ টাকা। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কাওরান বাজার টিসিবি ভবন থেকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে ভতুর্কির মাধ্যমে ট্রাকে করে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজনে পরিধি আরো বাড়ানো হবে।
টিসিবি জানায়, মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য তেল, ডাল এবং খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে সরবরাহ করা চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
এ কার্যক্রমের সাথে বুধবার থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোক্তাদের জন্য আলুও বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এবং পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন।