অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে সন্দেহ শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১
অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সন্দেহ আসতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সাথে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ফোকাস একটাই এখন। সেই ফোকাসটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ঠিক করে, প্রশাসনকে ঠিক করে, বিচারব্যবস্থা ঠিক করে নির্বাচন দিন। বাকি কাজ যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা চাইছি দ্রুত নির্বাচন। বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। কারণ নির্বাচন দেরি হলে সমস্যাগুলো বাড়বে। যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কিছু করতে পারছে না। কেন পারছে না? কারণ রাজনৈতিক শক্তি নাই।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, সন্দেহ কিন্তু আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) ওপর আসতে শুরু করেছে। আমরা তো চাই, সরকার সাফল্য অর্জন করুক, তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে, আমরা ব্যর্থ হব। আমরা চাই না, শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই না, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক।
সংস্কার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি এটাই দেশের সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট। এখন নতুন যারা আসছেন, তারা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন। এই সরকারে যারা আছেন, তারা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। রাজনীতি একটি সায়েন্স, এ জন্যই তো বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স।
এ সময় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের গোয়েন্দাদের ভেতরে তথ্য ছিল না? তারা কি আগে ব্যবস্থা নিতে পারতেন না? আসলে সরকার এখনো স্থিতিশীল হতে পারেনি। তাই বলছি, নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দেন, একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দেন, কবে কী করবেন জানান। তাহলে মানুষের মনে আস্থা আসবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ হতাশ হয়ে পড়েছেন, অনেকে বলাবলি করেন, এ জন্যই কি সংগ্রাম করেছি? এতে শত্রুরা সুযোগ নেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠত এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যপরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশীদ প্রমুখ।