২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ৩ দিনের রিমান্ডে

-


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
শরিফুল ইসলাম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে নিয়ে হামলার ভিডিও ফুটেজ ও স্থির চিত্র উপস্থাপনসহ ২৯টি অভিযোগ আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর পিবিআইর এসপি এ বি এম জাকির হোসেন তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় তিনি রিমান্ডের আবেদনে শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বেরোবির ১ নম্বর গেটের সামনে আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করার সময় ও এর আগেপরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে মিলে হামলায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ আনেন। প্রমাণ হিসেবে ১৪টি স্থির চিত্র এবং একাধিক ভিডিও ফুটেজসহ ২৯টি তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
আদালতে শরিফুল ইসলামের পক্ষে লিগ্যাল এইডের আইনজীবী ছাড়াও ছিলেন বোন অ্যাডভোকেট সাবিহা আক্তার পপি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড ও এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় রংপুর মহানগরীর আলমনগর এলাকা থেকে শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় বড় ভাই রমজান আলী গত ১৮ আগস্ট পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেøখ ও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নামে তদন্ত ও মামলায় নথিভুক্তির জন্য সম্পূরক এজাহার করেন। আদালতের আদেশে তাদেরকেও ওই মামলায় নামীয় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান জানান, ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ হয়েছে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মামলার দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে বিচার শুরু করতে হবে। এ পর্যন্ত মাত্র চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

শরিফুল ইসলামের আইনজীবী সাবিহা আক্তার পপি বলেন, আমার মক্কেল নির্দোষ। তাকে জামিন না দেয়ায় ন্যায় বিচার ব্যাহত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
রিমান্ড শুনানির সময় শরিফুল ইসলাম আদালতকে বলেন, আমি নির্দোষ, প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে গেছি। গতকালও (১৮ নভেম্বর) পরীক্ষা নিয়েছি। বাড়িতেই ছিলাম, আমাকে চা খাওয়ার কথা বলে এনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমি পিএইচডির জন্য আবেদন করেছি। আমাকে জামিন দেয়া হোক। যখনই যেভাবে আমাকে ডাকা হবে তখনই আমি চলে আসব। জামিন না হলে গবেষণা কার্যক্রমের পড়াশুনা ব্যাহত হবে।
পিবিআইয়ের তদন্ত সূত্র জানায়, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় এর আগে তাজহাট থানার বরখাস্তকৃত এএসআই সৈয়দ আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ ছাড়াও এ মামলার আসামি সাবেক আইজিপিকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তে সহযোগিতা করছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর এসপি এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলা তদন্ত করছি। উচ্চ আদালতের আদেশসহ প্রত্যেকটি নির্দেশনা মেনে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শরিফুল ইসলামকেও আইন মেনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরই মধ্যে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে সায়েন্সল্যাবে ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ‘ইসলামের শিক্ষা হলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না : ডা. এম এ মুহিত ডায়াবেটিস ধীরগতির ঘাতক, ১১টি লক্ষণ দেখলেই পরীক্ষা জরুরি জিয়াউল আহসানকে ‘বসনিয়ার কসাই’ কারাদজিচের সাথে তুলনা রাজনৈতিক দলগুলোর বিচারে সুপারিশ করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল শ্রীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত পতনের মুখে ইসরাইলি অর্থনীতি : নেয়ানিয়াহুকে লাপিদ খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ২৭ নভেম্বর

সকল