বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮
শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়ার পর গতকাল সকালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
দুই বছর পর গতকাল সোমবার সকালে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে এলো চালের প্রথম চালান।
বেনাপোল শুল্কভবনের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, গত শনিবার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রডাক্টের ১০৫ মেট্রিকটন, গত রোববার মাহাবুবুল আলম ফুড প্রডাক্টের ১০৫ টন ও অর্ক ট্রেডিংয়ের ১০০ টন চালের গেট পাস করা হয়। এই ৩১০ টন চালের মধ্যে সোমবার বেলা ১১টার দিকে একটি চালানের ১০৫ টন চাল বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে।
যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘সুধর্ম আয়াতনির্যাত প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন (এক লাখ ৫ হাজার কেজি) নন বাসমতি চাল আমদানি করেছেন। একই আমদানিকারকের আরো ১০৫ টন চাল ওপারে রয়েছে যা আজই বেনাপোল বন্দরে ঢুকতে পারে।
বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে হোসেন অ্যান্ড সন্স নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান বলেন, আমদানিকৃত চালের দাম ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার সমান। আমদানিকৃত প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। এরপর পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা পড়ে যাবে।
গত রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। যারা ভারত থেকে দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কি না তাতে সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে বাজারজাত করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এর পর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি।
হেমন্ত কুমার সরকার আরো জানান, তাদের কাছ থেকে শুধুমাত্র একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান (মাহাবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট) প্রথম চালানের ১০৫ টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের আরো ১০৫ টন চাল আজই বেনাপোল বন্দরে ঢোকার কথা রয়েছে বলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি জানিয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) কাজী রতন বলেন, গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিকটনের (৩ ট্রাক) একটি চালান প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা