আহত কাজলকে আজ থাইল্যান্ড নেয়া হচ্ছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬
জুলাইয়ের গণবিপ্লবে আহত হন কাজল। যাত্রাবাড়ীতে আবু সাঈদের মতো দু’হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের গুলিতে মাথায় আঘাত লাগে তার। ভর্তি হন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস)-এ। ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। কিন্তু গত দু’দিন আগে হঠাৎ করে ইনফেকশন হয়। বেশ কয়েকবার তার ডায়রিয়া হয়। রক্তচাপ কমে গিয়ে সে শকে চলে যায়। পরে বোর্ড করে চিকিৎসা দেয়া হতে থাকে। তার পরও অবস্থা খারাপ হতে থাকে। গতকালও বোর্ড মিটিং বসে। তার অবস্থা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে জানানো হয়। কাজলের অবস্থা জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নিনসে পাঠান। নাহিদ এসে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। তাকে দ্রুত থাইল্যান্ডের বেজথানি হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন। তবে শনিবার হওয়ায় ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্য উপদেষ্টা তার ভিসা ও খরচের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। দুই মন্ত্রণালয় থেকেই সবুজ সঙ্কেত পান। পরে সিদ্ধান্ত হয় কাজলকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ড নেয়া হবে। এর আগে সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে গণবিপ্লবে আহত মুসাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সে অভিজ্ঞতা থেকেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সাথে সাথে সিএমএইচ-এ যোগাযোগ করেন। পরে তিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ভিসা না হওয়ায় কাজলকে শনিবার থাইল্যান্ড নেয়া সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে থাই ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করা হয়। আশা করা হচ্ছে আজ রোববার ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসা পাওয়ার পরই থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রওনা দেবে কাজল।
এ দিকে কাজলকে দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্যের সহকারী উপদেষ্টা অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিফতরের ডিজি অধ্যাপক আবু জাফর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা ডা: আহাদ।
ঢাবি সাংবাদিক সমিতি সবসময় ফ্যাসিবাদমুক্ত ছিল : নাহিদ ইসলাম
ঢাবি প্রতিনিধি জানান, সারা দেশে ফ্যাসিবাদ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) সবসময় ফ্যাসিবাদমুক্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ডুজার নবগঠিত কমিটি ও সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে সত্য প্রকাশ করার মাধ্যমে সব আন্দোলনেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল ঢাবি সাংবাদিক সমিতিসহ সব সাংবাদিকের। আর জুলাই অভ্যুত্থানে তারা সেই দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করেছে বলেই আন্দোলন সফলতা পেয়েছে।
আন্দোলন চলাকালে ডুজার প্রতিটি সদস্য একই সাথে সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আন্দোলন চলাকালে যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, তখন সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের মাধ্যমে আমরা অনেক তথ্য জানতে পেরেছি এবং জানিয়েছি।
তথ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিটি আন্দোলনেই ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সেতুবন্ধন থাকে। আন্দোলনকালে সাংবাদিকতার বাইরে গিয়েও তারা আহত শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে মানবিক কাজে অংশ নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের জনগণের পক্ষ থেকে ডুজা এবং অন্যান্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা