১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ -

আজ রোববার, ১৭ নভেম্বর গণমানুষের নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমৃত্যু নির্লোভ আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এই মজলুম জননেতা ১৯৭৬ সালের এ দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে দাফন করা হয়।
মজলুম জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাবেন। এর মধ্যে রয়েছে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কয়েক দিন আগে থেকে তার ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদানরা সন্তোষে পৌঁছেছেন। ইতোমধ্যে সন্তোষে ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে মেলা বসেছে। এই মেলা চলবে কয়েক দিন। বিভিন্ন সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, সেমিনার চলছে। মাজার প্রাঙ্গণে ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা ‘যুগ যুগ জিও তুমি, মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে ক্ষণে ক্ষণে আওয়াজ তুলছেন। এ আওয়াজ আজ আকাশচুম্বী হবে।
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল চেগা মিয়া। তবে তিনি লাল মওলানা হিসেবেই সমধিক পরিচিত। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও জীবনের বেশির ভাগই টাঙ্গাইলের সন্তোষে কাটিয়েছেন। সন্তোষের মাটিতেই তিনি শায়িত আছেন।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে নানান আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন।
তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক সম্মেলন তৎকালীন রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। পাক জান্তাদের ‘ওয়া আলাইকুম আসসালাম’ বলে বিদায় জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি- ফারাক্কা লং মার্চ।
মওলানা ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, তবারক বিতরণ এবং মজার প্রাঙ্গণে কয়েক দিনব্যাপী মেলা ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করবে।
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মওলানা ভাসানীর মাজারে সকালে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ক্যাম্পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আগত অতিথিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, আলোচনা সভাসহ মৃত্যুবার্ষিকী পালনে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলপন্থীদের আধিক্য ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায়, অসন্তুষ্ট মুসলিম ভোটাররা সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ‘বাংলাদেশের ২০২৪ সালের বন্যা মোকাবেলা করেছে তরুণ সমাজ’ সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা যাবে না ১৫ বছরের জঞ্জাল ৩ মাসে দূর করা সম্ভব নয় : তারেক রহমান শেখ মুজিবের ছবির ব্যাপারে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র বিষয় আছে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সমর্থন দেবে ব্রিটেন আরো ৬০ দিন বাড়ল সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আ’লীগসহ ২৬ দলের মতামত না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিলো নির্বাচন সংস্কার কমিশন পোপ ফ্রান্সিস ও ড. ইউনূসের নামে ভ্যাটিকানের নতুন উদ্যোগ আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ২ মাস বেড়েছে

সকল