১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের ইন্তেকাল

-

বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল শনিবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। গতকাল বাদ জোহর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনস্থ ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীনসহ আইনজীবী এবং সরকারি আইন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রধান বিচারপতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টে জানাজা ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ২টার দিকে মরহুমের চট্টগ্রামের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে নেয়া হয়। সেখানেই মরহুমের লাশ দাফন করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতির শোক : প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের বিদায়ে সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

আইন উপদেষ্টার শোক : সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে : সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য অনুযায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ ১৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সব প্রশাসনিক কাজ চলমান থাকবে।
বিচারপতি ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আহমেদ কবীর। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের বংশধর।
ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেয়ার পর ১৯৬৯ লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল’ হন। ১৯৬৫ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৭০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৭৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। ২০০১ সালের ১৫ মে তিনি আপিল বিভাগে যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হন। একই সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলপন্থীদের আধিক্য ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায়, অসন্তুষ্ট মুসলিম ভোটাররা সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ‘বাংলাদেশের ২০২৪ সালের বন্যা মোকাবেলা করেছে তরুণ সমাজ’ সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা যাবে না ১৫ বছরের জঞ্জাল ৩ মাসে দূর করা সম্ভব নয় : তারেক রহমান শেখ মুজিবের ছবির ব্যাপারে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র বিষয় আছে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সমর্থন দেবে ব্রিটেন আরো ৬০ দিন বাড়ল সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আ’লীগসহ ২৬ দলের মতামত না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিলো নির্বাচন সংস্কার কমিশন পোপ ফ্রান্সিস ও ড. ইউনূসের নামে ভ্যাটিকানের নতুন উদ্যোগ আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ২ মাস বেড়েছে

সকল