সিঙ্গাপুরে শিশু মুসা হাত-পা নাড়ছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪
জুলাই গণ-আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা এখন হাত-পা নাড়ছে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন মুসার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন। গতকাল তিনি জানান, গত ২২ অক্টোবর মুসাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে শিশু মুসাকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার পরই সে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়।
সেখানে নেয়ার পরই সে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। ফলে প্রথম করোনা চিকিৎসা করানো হয়। করোনা থেকে কিছুটা সুস্থ হলে তার গুলিবিদ্ধ মাথার চিকিৎসা শুরু হয়। এখন মুসা কিছুটা ভালো আছে, হাত-পা নাড়াতে পারছে। চোখ খুলতে এবং বসতে পারছে। ইয়ামিন তার ফেসবুকে লিখেছেন যে, আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন মুসার পরিবারের সদস্যরা। মৃত ভেবে দাফন-কাফনের প্রস্তুতির কথাও বলছিল স্বজনদের কেউ কেউ। তবে সেই সময়েও হাল ছাড়েনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। শুরুতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এরপর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেই ছোট্ট মুসা অবশেষে চোখ খুলেছে, নাড়তে শুরু করেছে হাত-পা। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় মুসা ছিল তার দাদীর কোলে। তখন একটি বুলেট মুসার দাদীর পেটের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে মুসার মাথায় লাগে। দাদী সাথে সাথেই মারা গেলেও বেঁচে যায় মুসা। ইয়ামিন লিখেছেন, মুসার চিকিৎসার জন্য সরকার প্রথম ধাপে আনুষঙ্গিক খরচ ছাড়াও মুসার জন্য এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুরে। দ্বিতীয় ধাপে আরো এক কোটি টাকা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়াও সরকারি খরচে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা চলছে ৩ জনের। আরো ১০ থেকে ১২ জনকে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
গতকাল ইয়ামিন বলেন, ‘আজকে সকালের আপডেট হলো মুসা হাত-পা নাড়ছে, চোখ খুলছে, বসতে পারছে। এটা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে। মুসাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর পেছনে দৌড়ঝাঁপ করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। এখন আমার চোখে-মুখে কী পরিমাণ আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা