জনগণের কাক্সিক্ষত বাহিনী হতে পুলিশকে কাজ করতে হবে : আইজিপি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩
আইজিপি মো: ময়নুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের কাক্সিক্ষত বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সব পুলিশ সদস্যকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। অপরাধের হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে সব অপরাধ দমন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রকৃত অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। একই সাথে বিনা কারণে কেউ হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম, রাজারবাগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অক্টোবর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মো: মাইনুল হাসান।
আইজিপি বলেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে এবং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা।
জনগণকে সেবা প্রদানই পুলিশের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আইজিপি বলেন, অপরাধের হটস্পটগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেখানকার নাগরিক কমিটিকে শক্তিশালী করে তাদের সাথে সমন্বয় করে অপরাধ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেটা আড়াল করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। চুরি, ছিনতাই, কিশোর গ্যাংসহ অন্যান্য সংঘবদ্ধ অপরাধের ব্যাপারে আগে থেকেই ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ করে তা প্রতিরোধ করতে হবে। অপরাধ সংঘটনের আগেই অপরাধ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি। থানার অফিসার ইনচার্জদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, থানা হলো পুলিশি সেবার কেন্দ্রবিন্দু। যিনি থানায় আসছেন, ধরে নিতে হবে তিনি কোনো না কোনোভাবে বাদি, ভিকটিম কিংবা সাক্ষী। সেবা নিতে আসা মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে। আইজিপি বলেন, ঢাকা শহরের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। ট্রাফিক ব্যবস্থার আরো উন্নতি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীতে আড়াই কোটি জনসংখ্যার সেবা দিতে প্রস্তুত ডিএমপি। আমি দায়িত্ব নেয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা ছিল, সেই পরিস্থিতি থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। আপনারা কাজ করছেন বলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতি হয়েছে। যে কোনো পেশায় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যে চ্যালেঞ্জ আসবে, সেগুলো যাতে আমরা মোকাবেলা করতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতা ও চাঁদাবাজির ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আমাদের পুলিশি তৎপরতা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি যে সব ঘটনা ঘটবে তার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পরে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অক্টোবর মাসে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন আইজিপি।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো: ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো: মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো: শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা, ডিএমপির সব থানার অফিসার ইনচার্জরা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা