৩ মোটরসাইকেল আরোহীসহ নিহত ৪, আহত ২
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহী, ময়মনসিংহের গফরগাঁও এবং ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও এক মহিলাসহ চারজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকেলে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর কাজীপাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবীরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪২) ও একই গ্রামের মো: কালুর ছেলে নাজমুল হক (৩০)।
এ দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশের কাছে লাশ দু’টি হস্তান্তর করা হয়।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ফায়ার ফাইটার মাহবুবুর রহমান নয়ন গণমাধ্যমকে জানান, বিকেলে গোদাগাড়ী উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় থাকা রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আশরাফুল ও নাজমুল একই মোটরসাইকেলে রাজশাহীর দিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই আরোহী। পরে খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে লাশ দু’টি উদ্ধার করে। এরপর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে মো: নাসিম (১৮) নামে মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন।
গতকাল সকালে উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের মাখল-কালদাইর সড়কে জাঙ্গালিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত নাসিম মাখল জাঙ্গালিয়াপাড়া গ্রামের মো: জসিম মিয়ার ছেলে।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় মোটরসাইকেল চাপায় জেসমিন বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক আক্তারুল ইসলাম জনিসহ আহত হয়েছে দুইজন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁঠালিয়া ব্র্যাক অফিসের সমানের কাঁঠালিয়া-ভাণ্ডারিয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল চাপায় ওই নারী আহত হয়ে ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মারা যান। তিনি উপজেলার বলতলা বাজার এলাকার সুলতান শেখের স্ত্রী।
কাঁঠালিয়া থানার ওসি মং চেনলা জানান, রাস্তাপারারের সময় একটি মোটরসাইকেল ওই নারীকে চাপা দিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে চালকসহ তিনজন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালে বিকেলে ওই নারী মারা যান। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবার নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে। তাদের কোনো অভিযোগও নেই। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।