চীনে জনতার ভিড়ে ঢুকে গেল গাড়ি নিহত ৩৫
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭
চীনের ঝুহাই শহরে একটি স্টেডিয়ামে শরীরচর্চারত জনতার ভিড়ে গাড়ি ঢুকে পড়ায় অন্তত ৩৫ জন নিহত এবং আরো ৪৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শহরে বাড়তি নিরাপত্তার মধ্যেও এ ঘটনা ঘটল। শহরটি বড় ধরনের বেসামরিক ও সামরিক এয়ার শো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর বিবিসির।
অভিযুক্ত চালক ৬২ বছর বয়সী ফান। তিনি একটি এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল) গাড়ি নিয়ে ব্যারিয়ার ভেঙে ঝুহাই স্পোর্টস সেন্টারে ঢুকে পড়েন। স্থানীয় পুলিশ এটিকে গুরুতর ও নৃশংস আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছে। চীনা গণমাধ্যম খবরে জানায়, আহতদের মধ্যে বৃদ্ধ, তরুণদের সাথে শিশুরাও রয়েছে।
দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালানোর সময় আটক হন ফান। পুলিশ এমনটি জানায়। তারা আরো জানায়, আত্মঘাতী আঘাতের ফলে তিনি বর্তমানে কোমায় আছেন। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, তালাক-পরবর্তী সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে ফান চরম অসন্তোষে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছেন। তবে কোমায় থাকায় তদন্তকারীরা এখনো তার সাথে কথা বলতে পারেননি, যা তদন্তকে বিলম্বিত করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের পোস্ট করা বেশির ভাগ ভিডিও চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়। তবে কিছু ফুটেজ অনলাইনে এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে; যাতে দেখা যায়, অনেক মানুষ মাটিতে পড়ে আছে এবং চিকিৎসাসেবী ও আশপাশের মানুষ তাদের সাহায্য করছেন। চেন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী চীনা নিউজ ম্যাগাজিন কাইসিনকে বলেন, যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন অন্তত ছয়টি দল তাদের নিয়মিত হাঁটাহাঁটির জন্য স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল। দলগুলো একটি নির্দিষ্ট হাঁটার পথ ব্যবহার করে, যা স্টেডিয়ামের চার দিকে অবস্থিত।
এ ঘটনা এবং মঙ্গলবার শুরু হওয়া হাইপ্রোফাইল এয়ার শো চায়নার সাথে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এয়ার শোটি স্টেডিয়াম থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার (২৪ মাইল) দূরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চীন তার সর্বশেষ যুদ্ধবিমান ও আক্রমণাত্মক ড্রোনগুলো শোতে প্রদর্শন করছে। শীর্ষ রুশ কর্মকর্তা সের্গেই শোইগু অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ সুবিধার্থে এয়ার শো চলাকালে স্টেডিয়ামটির বেশ কয়েকটি প্রবেশপথ ও প্রস্থানপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানায় সেখানকার কর্তৃপক্ষ। হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। পাশাপাশি তিনি আহতদের চিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন।