রাষ্ট্রপতির চেয়ারে থাকার বৈধতা চুপ্পুর নেই : মাহমুদুর রহমান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১১
মো: সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর রাষ্ট্রপতির চেয়ারে থাকার বৈধতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। গতকাল শনিবার ‘সংবিধান অনুলিখন না সংশোধন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম।
ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, যে দিন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছেন, সেই দিনই সংবিধান নষ্ট হয়ে গেছে। একজন রাষ্ট্রপতি যখন বলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন, আবার পরবর্তী সময়ে তিনিই বলেছেন, পদত্যাগ পত্র তার কাছে নেই বা তিনি পাননি। তিনি এত বড় মিথ্যা কথা বলে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন এবং শপথ ভঙ্গ করেছেন। ওই চেয়ারে তার থাকার আর কোনো বৈধতা নেই।
বর্তমান সংবিধানকে একটি পরিবারের পক্ষের দলিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ সংবিধান শুধু একটি পরিবারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই সংবিধানে বলা হয়েছে- এই সংবিধান অপরিবর্তনীয়। এ সংবিধানে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবেন। তার মানে বাংলাদেশে তার পিতা শেখ মুজিব যেমন ’৭২ সালে বাকশাল কায়েম করেছিল, তেমনি তার কন্যাও এ সংবিধান অনুযায়ী অঘোষিত বাকশাল কায়েম করেছিল।
তিনি আরো বলেন, আমেরিকায় চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়, সেটি দুইবারের বেশি নয়। আমাদের বাংলাদেশেও দুই টার্মের বেশি কোনো ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন না। সে জন্য বাংলাদেশেও প্রেসিডেন্সিয়াল বিষয়টি নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে পার্লামেন্ট অর্থাৎ ক্ষমতা বিভাজনের বিষয়টি এখন সময়ের দাবি, যারা এক্সপার্ট আছেন তারা এগুলো স্টাডি করবেন, আমেরিকা কিভাবে চলে, ফ্রান্স কিভাবে চলে সে বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসতে হবে।
মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, এখন বাংলাদেশে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে হবে। এটি রাজনৈতিক দলের নেতারা মানবেন কি না সেটি জানি না।
জিয়াউর রহমান বলেছিলেন সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস, আস্থা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস থাকতে হবে। সেটি যদি না থাকে তাহলে কিসের সংবিধান? বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলিম, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস যদি না থাকে সেই সংবিধান আমাদের নয়। অনন্তকাল প্রধানমন্ত্রী একজন ব্যক্তি থাকবেন এটি বাদ দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে একটি বিপ্লবী সরকার হতে পারে বা বিপ্লবী রাজনৈতিক সরকার হতে পারে। দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যের ভিত্তিতে এটা হতে পারে। তাহলে আগামীতে একটি চমৎকার সরকার ও বাংলাদেশ হবে। সেটি সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে হতে হবে, তা না হলে সম্ভব হবে না।
সাবেক বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ও জেলা জজ ইকতেদার আহমেদ।