আমন মৌসুমে ১০ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার

এবার আমন মৌসুমে সরকারের ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা ও আতপ চাল ৪৬ টাকা কেজি দরে কেনা হবে। এবার ১০ লাখ টন চাল ও ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, রমজানের নিত্যপণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চাল-চিনি-গমসহ রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যেন শিগগির এগুলো আনা হয়। এসব পণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করেছি চাল-গমসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন রোজার জন্য ডাল ও খেজুরের জন্য বরাদ্দের সমস্যা হবে না। কোনো ব্যাপারেই যেন ভোগ্যপণ্য বা ভোক্তাদের কোনো সমস্যা না হয়। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুদ কী অবস্থায় আছে, কি কি আমদানি করতে হবে, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রুত পণ্য আনতে পারে।

তিনি বলেন, চাল-গমের বিষয়ে যতটুকু মজুদ আছে, যতটুকু আমদানি দরকার, তার চেয়ে কিছুটা বেশি আমদানি ও সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজন যদি এক্স হয়, তবে টার্গেট এক্স প্লাস ওয়ান করতে বলেছি। ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, আমরা ধান ও চাল সংগ্রহের দাম ঠিক করে দিয়েছি। সেটা যেন ভোক্তা ও কৃষকদের জন্য যুক্তিপূর্ণ হয়। আমরা একটা দাম ঠিক করবো আর বাজারে এর থেকে বেশি ব্যবধানে বিক্রি হবে, এমন যেন না হয়। আসন্ন রমজানে যেন পণ্যের দাম না বাড়ে সে লক্ষ্যে দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ দিকে, সভা শেষে সাংবাদিকদের খাদ্যসচিব মো: মাসুদুল হাসান বলেন, আমন মৌসুমে সাড়ে তিন লাখ টন ধান ও সাড়ে পাঁচ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা ও আতপ চাল ৪৬ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেদ্ধ চাল ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এ ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১৭ নভেম্বর থেকে ১০ মার্চ সময় পর্যন্ত।