০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

বিদেশ থেকে গম বাসমতি চাল ও এলএনজি কিনছে সরকার

-


সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম এবং ও ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন বাসমতি চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সবরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৬৭ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ভারতের ভেলপুর পট্টাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডে থেকে বাসমতি সেদ্ধ চাল এবং সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। একই সাথে অনুমোদন দেয়া হয়েছে দুই কার্গো এলএনজি (তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ও চিনি আমদানির প্রস্তাবও।

গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এসব ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমারা নিশ্চিত করেছি, চাল-গমসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সমস্যা হবে না। কোনো ব্যাপারেই যেন ভোগ্যপণ্যে ভোক্তাদের সমস্যা না হয়।

তিনি বলেন, এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুদ কী অবস্থায় আছে, কী কী আমদানি করতে হবে সেগুলোর বিষয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রুত পণ্য আনতে পারে।
জানা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। এ গম আমদানির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ধরা হয়েছে ৩০১ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলার।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের ভেলপুর পট্টাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-০১ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন বাসমতি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৭৭ মার্কিন ডলার।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (২৩-২৪ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩৩তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পেট্রোবাংলা থেকে এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ সই করা ২৩ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তিনটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরভিত্তিক মেসার্স গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৩৫ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৭ মার্কিন ডলার।
এ দিকে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ চিনি কিনতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা ৯০ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে এ চিনি বিক্রি করা হবে। দেশী প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ড্রাটিজ এই চিনি সরবরাহ করবে।


আরো সংবাদ



premium cement