৫০ হাজার টন গম কিনবে সরকার
প্রতি কেজির দাম ৩৬.১৬ টাকা- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কিনছে সরকার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই গম আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এটাই হবে অর্থবছরের প্রথম গম আমদানি। সিঙ্গাপুরভিত্তিক মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রা: লি: এই গম সরবরাহ করবে। প্রতি টন গমের দাম পড়বে ৩০১.৩৮ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন গম আমদানিতে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি গমের মূল্য পড়বে ৩৬ টাকা ১৬ পয়সা।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। বৈঠকটি আগামীকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে আমদানির জন্য ৭ লাখ টন গমের বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে খাদ্য অধিদফতর গত ৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দলিল সংগ্রহ করলেও মাত্র ৩ প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয়। এর মধ্যে মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রতি টন গমের দাম ৩০১.৩৮ ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। অন্যা দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুবাইভিত্তিক মেসার্স এমসি ফুড ডিএমসিসি প্রতি টনের দাম ৩০৩.২০ ডলার উল্লেখ করে দ্বিতীয় এবং মেসার্স সিরিয়াল ক্রপস ট্রেডিং এলএলসি প্রতি টনের দাম ৩০৬.৭৫ ডলার উল্লেখ করে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বিগত ৩ বছরের গম সংগ্রহের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছর অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২০ লাখ টন এবং বিদেশ থেকে ৬ লাখ টন গম আমদানি করা হয়। ২০২২-২০২৩ অর্থবছর অভ্যন্তরীণ খাত থেকে কোনো গম আমদানি করা হয়নি। দেশীয় খাত থেকে ৬.৫০ লাখ টন গম সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছর বিদেশ থেকে ৩৭ লাখ টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭.৮৪ টন গম সংগ্রহ করা হয়।
অন্য দিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে গমের মোট চাহিদা ৮.৯০ লাখ টন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক উৎস থেকে চলতি অর্থবছর ৭ লাখ টন গম আমদানি করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গম আমদানি করা হয়নি। চলতি অর্থবছর প্যাকেজ-১ এর আওতায় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন গম আমদানি করা হবে। প্রতি টনের দাম ৩০১.৩৮ মার্কিন ডলার (প্রতি কেজি ৩৬.১৬৫৬ টাকা) হিসেবে ৫০ হাজার টন গম ক্রয়ের জন্য এক কোটি ৫০ লাখ ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ গত ২৩ অক্টোবর তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ডলারের বিনিময় হার প্রতি মার্কিন ডলার ১২০ টাকা (সম্ভাব্য) হিসেবে ১৮০ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা (সিডি, ভ্যাট ছাড়া) প্রয়োজন হবে। সর্বনিম্ন দারদাতা মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ প্রা. লিমিটেড চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের জন্য ৬০:৪০ অনুপাতে ৫০ হাজার টন গম সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে।