বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাখ শিক্ষকের পদ শূন্য
- শাহেদ মতিউর রহমান
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২, আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯
- স্কুল কলেজে চলছে ই-রেজিস্ট্রেশন
- ৩ মাসের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত
যোগ্যতাসম্পন্নরা এখন আর শিক্ষকতা পেশায় আসছেন না। ফলে পদ খালি থাকলেও শিক্ষকের অভাব রয়েছে সব প্রতিষ্ঠানেই। বিশেষ করে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে শিক্ষকের তীব্র সঙ্কট। বর্তমানে নতুন করে শিক্ষকের শূন্যপদের তালিকা হালনাগাদ করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। নতুন তালিকা এবং বিদ্যমান শিক্ষকের শূূন্যপদ মিলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখ পদ খালি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দিকে শিক্ষকদের এই শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে এনটিআরসিএ। আর সে লক্ষ্যে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে তথ্য চেয়ে শূন্যপদের চাহিদা আহ্বান করেছে এনটিআরসিএ। শিক্ষকদের তথ্য পাওয়ার পর আগামী তিন মাসের মধ্যে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।
সূত্র আরো বলছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় এক লাখ হতে পারে। কারণ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে। আরো ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে। এ বিষয়ে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন। এ নিয়ে কাজ শেষ হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।
অন্য দিকে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা কত দেয়া হবে এ বিষয়ে অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, কত পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে, এটা এখন বলতে পারছি না। তবে ধারণা করা হচ্ছে এক লাখ। এ নিয়ে বিস্তারিত আরো পরে জানানো যাবে। ধারণা করা হচ্ছে যেহেতু ইতোমধ্যে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়েছে, এখান থেকেও বেশ কিছু শিক্ষক নিয়োগ পাবেন। এতে যোগ্য প্রার্থীর সঙ্কট কাটবে।
সূত্র আরো জানায়, গত ৩০ অক্টোবর এনটিআরসিএ অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে, যা ই-রিকুইজিশন নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমে তথ্য দেয়া যাবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।
এর আগে গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল তারা। ওই বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, সরকারি সংস্থা এনটিআরসিএ একটি নীতিমালার আলোকে ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে প্রথম ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতা দেয়। এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এক লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা